প্রচারনার শেষ দিনে আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে সবুজ প্যানেলের প্রার্থীরা
Published: 27th, August 2025 GMT
নির্বাচনী প্রচারনার শেষ দিনে আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করেছেন ল’ইয়ার্স কাউন্সিল মনোনীত (সবুজ প্যানেল) হাফিজ মোল্লাহ-মাইনউদ্দিন প্যানেলের প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বার ভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আদালত পাড়া ও আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পূণরায় বার ভবনের সামনে এসে শেষ করে।
এ সময় সভাপতি প্রার্থী এড.
পিপি ও জিপি যারা রয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের প্রাইভেট মামলা কম থাকে বা করতে পারেন না। আপনাদের যে সম্মানী সেটা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে সরকারের কাছে আবেদন করবো। যেহেতু আপনারা রাষ্ট্রীয় কাজে নিযুক্ত তাই যে প্যানেল আইনজীবীদের জন্য কাজ করবে আপনারা তাদেরকে ভোট দিবেন।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এড. মাঈন উদ্দিন মিয়া বলেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্ষমতায় থেকে একের পর এক ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা চাই নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত শৃঙ্খলা রক্ষা করতে। তারা বারের অফিসকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছেন। বারের লাইব্রেরীতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে মিটিং করে সাধারণ আইনজীবীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের কাছে দরখাস্ত দিয়েছি। আজকে আমরা পুলিশ সুপার বরাবর আরো একটি দরখাস্ত দিবো, যাতে করে ভোটাররা নির্বিঘ্নে চলাচল ও ভোট প্রদান করতে পারে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সবুজ প্যানেলের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী এড. জাহাঙ্গীর দেওয়ান, সহ-সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এড. আল-আমিন, কোষাধ্যক্ষ এড. ইস্রাফিল, আপ্যায়ন সম্পাদক এড. নিজাম উদ্দিন, লাইব্রেরি সম্পাদক এড. গোলাম সারোয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক এড. ইমরান হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড. মজিবুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক এড. নূর-ই-আলম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এড. মাসুদুর রহমান, কার্যকরী সদস্য এড. গোলাম মোস্তফা, এড. আফরোজা জাহান, এড. রাকিবুল হাসান, এড. তাওফিকুল ইসলাম, এড. সাইফুল ইসলাম সহ প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব দ র
এছাড়াও পড়ুন:
এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
রাজধানীর রমনা থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী ওরফে মাসুদ করিম ও এস এম গোলাম মোস্তফা আজাদকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত এনায়েত করিম চৌধুরী ও এস এম গোলাম মোস্তফাকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মাসুদ ও মোস্তফাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এনায়েত করিম ওরফে মাসুদ করিমকে গত সোমবার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, এনায়েত করিম চৌধুরী ওরফে মাসুদ করিম মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। বাস্তবে তিনি র-এর (ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) এজেন্ট। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার মিশন নিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। বর্তমান সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। সেটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হলে তাঁর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আরও অনেক নতুন তথ্য জানা যাবে। এনায়েত করিম চৌধুরী ওরফে মাসুদ করিমসহ আর কারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, সেটি জানার জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অপরদিকে এনায়েত করিম চৌধুরীর পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, তিনি ৬ সেপ্টেম্বর দেশে এসেছেন, তাঁর আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার কথা ১৪ সেপ্টেম্বর। তিনি বাংলাদেশে এসে গুলশানে অবস্থান করছিলেন।
এনায়েত করিম চৌধুরীর আইনজীবী ফারহান এমডি আরাফ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর মক্কেল কোনোভাবেই জড়িত নন। তিনি একজন মার্কিন নাগরিক। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তিনি কোনোভাবে যুক্ত নন।
এর আগে গত শনিবার এনায়েত করিম চৌধুরীকে (৫৫) সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার সকালে রাজধানীর মিন্টোরোড থেকে এনায়েত করিম চৌধুরীকে আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনি মার্কিন নাগরিক।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, এনায়েত করিম নিজেকে মাসুদ করিম নামে পরিচয় দেন। তিনি নিজেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রধান বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখান। ২০১৮ সালের ভোটের আগেও তিনি একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দেশের বাইরে বৈঠক করেন।
পুলিশ বলছে, গত শনিবার এনায়েত করিম চৌধুরী প্রাডো গাড়িতে করে মিন্টোরোড এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। গাড়ি থামিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করার বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তাঁকে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পাশাপাশি সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত করিম বলেছেন, বর্তমান সরকার পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার গঠনে কাজ করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁর দাবি, তিনি বিশেষ একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার খুব নাজুক অবস্থায় আছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গেও এই সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই সুযোগে বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করতে বাংলাদেশে এসেছেন। সরকারি উচ্চ ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন।