জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকে বিদ্যালয়ের মাঠ
Published: 28th, August 2025 GMT
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ৮১নং ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকে। বিদ্যালয়ের সামনের সড়কটিও তলিয়ে থাকে বলে শিক্ষার্থীদের পানিতে ভিজে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে এই সমস্যা নিয়েই চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।
১৯৪৩ সালে সর্বপ্রথম বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে সংস্কার করে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে সব শ্রেণি মিলিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।
শিক্ষক ও অভিভাবকরা জনান, উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নে অবস্থিত বিদ্যালয়টি পড়ালেখার মানে অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে এগিয়ে আছে। তবে এখান থেকে বিষখালি নদী নিকটে হওয়ায় জোয়ার এলেই পানিতে তলিয়ে যায় বিদ্যালয়ের মাঠসহ সড়ক। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, একই সাথে সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া তাদের সমস্যা হচ্ছে।
অভিভাবক আফজাল আকন বলেন, ‘‘এই এলাকায় একটিমাত্র সরকারি বিদ্যালয়। এর দুরাবস্থা চোখে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। এখানে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশে অনেক ঘাটতি আছে। বিদ্যালয়ে মাঠ পানিতে তলিয়ে থাকে, আবার পানি কমে গেলে কাদা হয়ে থাকে। এর কারণে শিক্ষার্থীরা মাঠটি ব্যবহার করতে পারছেন না। শিশুদের মানুষিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই তবে এখানের শিক্ষার্থীরা সেটা পারছেন না। আমরা চাই অতিদ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দিবেন।”
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্নিন্ধা বলে, “বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে, আবার জোয়ার হলেই মাঠসহ আমাদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকে। আমরা তখন সেখান থেকে একা একা যেতে পারি না। অনেক সময় শিক্ষকরাও আমাদের এগিয়ে দিয়ে আসেন।”
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো.
নলছিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, “ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলোর ব্যাপারে আমরা অবহিত। আমি এই ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করে রেখেছি। আশা করছি শিগগিরই সমাধান হবে।”
ঢাকা/অলোক/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর
শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ফেনী শহরের ব্যস্ততম রাস্তা। এই সড়কের পাশেই শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা। একটু ভারী বৃষ্টিতেই ডুবে যায় সড়কটি। গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় সড়কের দুই কিলোমিটার অংশ কোমরপানিতে তলিয়ে ছিল পাঁচ দিন। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে খানাখন্দ তৈরি হয়। পানি নেমে যাওয়ার পর পাথর ও ইটের সুরকি দিয়ে অস্থায়ী মেরামত করা হলেও স্থায়ী সংস্কার হয়নি। এ বছর বর্ষায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় আরও বেহাল হয়েছে সড়কটির দশা। ছোট ছোট গর্তে ভরা এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলে ধীরগতিতে। ফলে সড়কে যানজট লেগেই থাকে।
পৌর শহরের এই প্রধান সড়কে তা–ও যানবাহন চলে কোনোরকমে। শহরের অলিগলি আর অভ্যন্তরীণ সড়কের দশা এর চেয়ে অনেক বেহাল। শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক থেকে একটু এগোলে হাসপাতাল মোড় থেকে সালাহ উদ্দিন মোড় পর্যন্ত যে সড়কটি রয়েছে, তাতে আগাগোড়াই বড় বড় খানাখন্দ। সড়কটির সাহেববাড়ি অংশে বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ইট দিয়ে সাময়িক মেরামত করলেও ছোট-বড় গাড়ির চাকা সেসবকে স্থায়ী হতে দেয়নি। এটিসহ পৌরসভার ছোট-বড় প্রায় ৩০টির বেশি সড়ক এখনো বন্যার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। ২০২৪ সালের বন্যার এক বছর পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর দৃশ্যমান কোনো সংস্কার হয়নি। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের কাজ অচিরেই শুরু হবে।
একসময়ের ছিমছাম ও সাজানো ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর। খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে গাড়ি চলে হেলেদুলে। হালকা বৃষ্টিতেও প্রায় সব সড়কে পানি জমে যায়। পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। অধিকাংশ সড়কের পিচঢালাই উঠে যাচ্ছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক শহরকে যেমন শ্রীহীন করেছে, তেমনি বাড়িয়েছে জনদুর্ভোগ।
সরেজমিন ঘুরে শহরের পাঠানবাড়ি সড়ক, মাস্টারপাড়া মুন্সিবাড়ি সড়ক, কদল গাজী সড়ক, বিরিঞ্চি প্রাইমারি স্কুল সড়ক, বিরিঞ্চি রতন সড়ক, সুলতানপুর আমির উদ্দিন সড়ক, গাজী ক্রস রোড, সুফি সদর উদ্দিন সড়ক, আবু বক্কর সড়ক, শহীদ ওবায়দুল হক সড়ক, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি সড়ক, চাড়িপুর মৌলভী আব্দুস সালাম সড়ক, উত্তর চারিপুর বাইতুশ শরিফ সড়ক, পূর্ব বিজয় সিং ছোট হুদা দিঘি সড়ক, মধুপুর মালেক মিয়া বাজার সড়কের বেহাল দশা দেখা গেছে। সব মিলিয়ে ৩০টি সড়কের সব কটিই এখন বেহাল।
একসময়ের ছিমছাম ও সাজানো ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর। খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে গাড়ি চলে হেলেদুলে। হালকা বৃষ্টিতেও প্রায় সব সড়কে পানি জমে যায়। পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। অধিকাংশ সড়কের পিচঢালাই উঠে যাচ্ছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক শহরকে যেমন শ্রীহীন করেছে, তেমনি বাড়িয়েছে জনদুর্ভোগ।ফেনী পৌরসভায় ইজিবাইক চালান সুজাউদ্দিন। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে অন্য অনেকের চেয়ে তাঁকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে জানিয়েছেন। ফেনীর শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে সম্প্রতি সুজাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয়। কথায় কথায় তিনি বলেন, ছোট-বড় গর্ত থাকায় অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে প্রতিনিয়ত গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় যাত্রীরা গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার দশা হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় ভাড়াও কমেছে তাঁর।
শাহিন একাডেমি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম শহরের সড়কগুলোর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সড়কের পাশে পর্যাপ্ত নালা নেই। এ কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে। বাড়ির সামনের সড়কের এই হাল হলে আর কাজকর্ম করতে ইচ্ছা হয় না।
ফেনী পৌরসভার বিসিক–মুক্তার বাড়ি সড়কের মাঝে এমন বড় বড় খানাখন্দ