শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে: জবি উপাচার্
Published: 30th, August 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে শিক্ষকদের অধীনে তাদের গবেষণা সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, “একাডেমিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণ। শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে আমরা তাদের গবেষণা সহকারী হিসেবে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
কুবি শিক্ষার্থীরা পাবেন ‘ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে লোক প্রশাসন বিভাগের এক যুগপূর্তি উৎসব ও সাবেক–বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
উপাচার্য বলেন, “বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রত্যাশিত সময়ে আমরা সবকিছু সম্পন্ন করতে না পারলেও গবেষণাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। গবেষণায় শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হলে তারা একাডেমিক জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাস মনিটরিং সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস ও কোর্স কারিকুলাম নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব নয়। তবে আমরা সেগুলো চিহ্নিত করে ধাপে ধাপে সমাধানের পথে অগ্রসর হচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
সভায় আরো বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সানজিদা ফারহানা এবং লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আছমা বিন্তে ইকবাল।
দিনব্যাপী উৎসবে আনন্দ র্যালি, স্মরণিকা মোড়ক উন্মোচন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মনোজ্ঞ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।