বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দেশের ক্রিকেটে আরও সময় দেওয়ার ইচ্ছাতেই বিসিবিতে কাজ করতে আগ্রহী আমিনুল।
গতকাল বোর্ড সভায় বিসিবির পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই হবে নির্বাচন। শোনা যাচ্ছে, ৪ অক্টোবরই বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার দায়িত্বটা আমিনুল নিজ কাঁধে নিয়েছেন। ২-১ দিনে তা প্রকাশ পাবে। কিছুদিন আগে আমিনুল ইসলাম ক্রিকেটের মসনদে থাকার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আমি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এখানে এসেছি। যদি তারা আমাকে চালিয়ে যেতে চায়, আমি থাকব এবং আমার সেরাটা দেব।’’
আরো পড়ুন:
বিসিবি নির্বাচন অক্টোবরে
মসনদে থাকার ইচ্ছা আমিনুলের, কিন্তু…
নির্বাচন করার জন্য ‘প্রয়োজনীয় সম্পদ’ তার কাছে নেই বলে দাবিও করেছিলেন। কিন্তু সপ্তাহখানেকের ভেতরেই আমিনুল পাল্টে ফেলেছেন নিজের সিদ্ধান্ত। ক্রিকেটের উন্নয়নে পাশে থাকতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান, ‘‘ফাহিম ভাই (নাজমুল আবেদীন) ইতিমধ্যেই বোর্ডের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন যে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আমরা নির্বাচন করব। এখানে সম্পূর্ণ নির্বাচনই হবে। কারণ, শুধু সভাপতি নির্বাচন হয় না। এখানে ডিরেক্টরি নির্বাচন হয়। সেটা প্রথম লক্ষ্য এবং সেখানে থাকার চেষ্টা করব। পরবর্তীতে যদি সুযোগ হয় আমি চেষ্টা করব, যে ভাবেই হোক বাংলাদেশকে সার্ভ করার।’’
বিসিবির পরিচালক হবেন মোট ২৫ জন। ২ জন সরাসরি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনিত হবেন। বাকি ২৩ জন পরিচালককে নির্বাচিত করবেন কাউন্সিলররা। গত বছর সরকার পরিবর্তনের পর ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হন। বছর না ঘুরতেই তাকে সরিয়ে আমিনুল ইসলাম বোর্ডের দায়িত্ব নেন। তখন তিনি আইসিসির চাকরি করছিলেন।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অনুরোধে আমিনুল আইসিসির চাকরি থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসে বিসিবির শীর্ষ পদ গ্রহণ করেছিলেন। ছোট্ট টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলার ঘোষণা দিয়েছিলেন আমিনুল। কিন্তু দেশের ক্রিকেটের প্রয়োজনে ইনিংস লম্বা করার প্রয়োজন অনুভব করছেন তিনি। শুরুতে তাকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের ভোটে নির্বাচিত হয় বিসিবি সভাপতি।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম ন ল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
নারায়নগঞ্জের জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আমেনা বেগম (৩৮) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ফিরে গেলো তার আপন ঠিকানায়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে উদ্ধার মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিবারের লোকজন কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার লনেস্বর গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ঘিরে লোকজনের ভীড় উপস্থিতি দেখতে পেয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ।
নারীটির আচরন ও কথাবার্তা শুনে মানসিক প্রতিবন্ধী মনে হওয়ায় তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিবন্ধী নারীর বিচ্ছিন্নভাবে প্রদত্ত তথ্যের সমন্বয়ে থানা পুলিশ ধারণা করেন যে তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার কোন এক জায়গায়।
মঙ্গলবার সকালে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার বাড়ী এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।পরবর্তীতে পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে
ঐ নারীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে কুমিল্লা থেকে বিকেল ৪ টার ঐ নারীর ভাই সহ পরিবারের অপর সদস্যরা থানায় এলে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আমেনা বেগম কে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তুলে দেয়।
আমেনা বেগমের ভাই মোঃ মানিক জানায়,তার বোন মানসিক রুগী। বোন জামাই প্রবাসী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সকলের অগোচরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারা তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ ও করতেছিলো।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদের কে মোবাইল ফোনে ফোন করে তার বোনকে পাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে চারটার দিকে তারা ফতুল্লা থানায় এসে তার বোনকে পায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গাজী শামীম জানান,নারীটি রাতে ঠিকমতো কিছু বলতে পারছিলোনা। সকালে তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার ফলে বাসার ঠিকানা জানতে পারেন। তখন সেখানকার থানার সাথে যোগাযোগ করেন।
থানা থেকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ঐ মহিলার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে নারীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ হয়। বিকেল চারটার দিকে ঐ নারীর পরিবারের সদস্যরা ফতুল্লা থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।