পুলিশের ভুয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে ডাকাতি করতেন রিয়াজ
Published: 2nd, September 2025 GMT
ঝালকাঠির নলছিটিতে পাঁচ মামলার আসামি রিয়াজ হোসেন ওরফে রিয়াজুলকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে, তিনি পুলিশের ভুয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে ডাকাতি করতেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকাঠি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রিয়াজ হোসেন উত্তর জুরকাঠি এলাকার আবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে। নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নলছিটি থানার ওসি জানিয়েছেন, রিয়াজের বিরুদ্ধে দুটি ডাকাতির মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা আছে। গতকাল বিকেলে তাকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের ভুয়া পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে। তিনি ওই পরিচয়পত্র দেখিয়ে ডাকাতি করতেন। তাকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/অলোক/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ