কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল আরোহীদের ধাওয়ার মুখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক নাজমুল হাসান আখন্দ মারা গেছেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) লাকসামের বিজরা এলাকায় নিজের প্রাইভেটকারে তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত ডা. নাজমুল হাসান আখন্দ কুমিল্লা নগরীর বাদুড়তলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি

সোনাপুরের যানজটে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দৈনিক ২৫০০ ঘণ্টা অপচয়

স্বজনরা জানান, ডা.

নাজমুল হাসান চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থেকে রোগী দেখে একাই প্রাইভেটকার চালিয়ে কুমিল্লায় ফিরছিলেন। পথে লাকসামের বিজরায় দুটি মোটরসাইকেলে থাকা কয়েকজন যুবক তার প্রাইভেটকার ধাওয়া করেন। তারা গাড়িতে আঘাত করলে লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। নাজমুল হাসান দ্রুত গাড়ি চালাতে থাকেন। একপর্যায়ে গাড়ির ভেতর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় এক যুবক তাকে কুমিল্লা নগরীর বাদুড়তলায় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আতঙ্কিত হয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নাজমুল হাসানের মৃত্যু হয়েছে।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসমিন সুলতানা মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘‘সড়কে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা জানতে পেরেছি, দুটি মোটরসাইকেল চারজন যুবক ডা. নাজমুল হাসানের প্রাইভেটকার ধাওয়া করেন।’’ তবে কেন ধাওয়া করেন তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টির তদন্ত চলছে। আমরাও সেটা জানার চেষ্টা করছি।’’

ডা. নাজমুল হাসানের সহকর্মী ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক নাইম হোসেন জানান, ডা. নাজমুল হাসানের আগে থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। 
 

ঢাকা/রুবেল/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ