গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে পাহারার দায়িত্বে ইসলামবিদ্বেষী মার্কিন বাইকার গ্যাং
Published: 10th, September 2025 GMT
গাজায় ত্রাণ বিতরণের স্থানগুলোতে পাহারা দেওয়ার জন্য ইসলামবিদ্বেষী একটি মার্কিন বাইকার গ্যাংয়ের সদস্যদের ব্যবহার করা হচ্ছে। বিবিসির নিজস্ব তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে।
বিবিসি নিউজ গাজায় ইউজি সলিউশনের জন্য কাজ করা ইনফিডেলস মোটরসাইকেল ক্লাবের ১০ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। এই ইউজি সলিউশন হচ্ছে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) সাইটগুলোতে নিরাপত্তা প্রদানকারী একটি বেসরকারি ঠিকাদার। জিএইচএফের সাইটগুলোতে নিরাপত্তা প্রহরীদের গুলিতে খাদ্যের সন্ধানে যাওয়া শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বুধবার বিবিসি বলেছে, “আমরা প্রকাশ করতে পারি যে এই গ্যাংয়ের সাত সদস্য ইসরায়েল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থার সাইটগুলো তদারকি করার জন্য সিনিয়র পদে রয়েছেন।
ইউজি সলিউশনস (ইউজিএস) তাদের এই কর্মীদের যোগ্যতার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছে, তাদের কর্মীদের যোগ্যতার ব্যাপারে ‘ব্যক্তিগত শখ বা কাজের দক্ষতার সাথে সম্পর্কিত নয়’ এমন কিছুর ওপর নজরদারি করে না।
২০০৬ সালে ইরাক যুদ্ধের পর ফেরত আসা মার্কিন সেনাদের মাধ্যমে বাইকার গ্রুপ ইনফিডেলস এমসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর সদস্যরা নিজেদেরকে আধুনিক ক্রুসেডার হিসেবে দেখে। তারা ক্রুসেডার ক্রসকে তাদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে। এই ক্রুসেড জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণের জন্য মুসলিমদের সাথে লড়াই করা মধ্যযুগীয় খ্রিস্টানদের প্রতি ইঙ্গিত করে।
এই দলটি বর্তমানে তাদের ফেসবুক পেজে মুসলিমবিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করছে। এর আগে তারা ইসলামের পবিত্র রমজান মাসকে ‘অবজ্ঞা করার জন্য’ ওই মাসে একটি শূকর রোস্ট উৎসব করেছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শীর্ষস্থানীয় মুসলিম নাগরিক অধিকার সংস্থা কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (CAIR) এর উপ-পরিচালক এডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল বলেছেন, “গাজায় মানবিক সাহায্য সরবরাহের দায়িত্বে ইনফিডেলস বাইকার ক্লাবকে দেওয়া সুদানে মানবিক সাহায্য সরবরাহের দায়িত্বে কেকেকে-কে দেওয়ার মতো। এর কোনো অর্থ হয় না। এটি সহিংসতার দিকে পরিচালিত করবে এবং গাজায় আমরা ঠিক তাই ঘটতে দেখেছি।”
এই গ্যাংয়ের নেতা জনি ‘তাজ’ মুলফোর্ড মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন সাবেক সার্জেন্ট। তাকে ঘুষ, চুরি এবং সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার ষড়যন্ত্রের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখন গাজায় ইউজি সলিউশনের ‘কান্ট্রি টিম লিডার।’
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ইসল ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন