খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে ৭১৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার বাজেটের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ অর্থ দাতা সংস্থার উপর নির্ভরশীল। 

তবে, বাজেটে নতুন কোন করারোপ করা হয়নি। এছাড়া গত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ৬১৮ কোটি ২৫ লাখ ৭ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮১ কোটি ৯৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কর্পোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়। কেসিসির প্রশাসক ও বিভাগীয় সরকার মো.

ফিরোজ সরকার বাজেট ঘোষণা করেন।

বাজেট বক্তৃতায় কেসিসির প্রশাসক ও বিভাগীয় সরকার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, “গত চার বছরে নতুন কোনো প্রকল্প না থাকা আর পুরাতন প্রকল্পগুলোও চলতি বছর শেষ হওয়ার পথে থাকায় এবার বাজেটের আকার ছোট হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এক বছরের ব্যবধানে বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দ কমেছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা। তবে নতুন করে বড় একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কেসিসি তিনটি বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে এবার প্রস্তাবিত বাজেট তৈরি করেছে। বিভাগগুলো হলো-কনজারভেন্সি বিভাগ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।”

এছাড়া মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন নামে প্রকল্প দুটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে অনুমোদন হয়। প্রায় ১ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে এই দুই প্রকল্প। 

এর মধ্যে সড়ক মেরামতের প্রকল্পটি গত অর্থবছরে শেষ হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পটি শেষ হচ্ছে চলতি অর্থবছরে। ২০২১ সালে অনুমোদন হওয়া কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পও চলতি অর্থবছরে শেষ হচ্ছে।

কেসিসির হিসাব শাখা সূত্রে প্রকাশ, কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উন্নয়ন কাজের পুরোটাই আসে প্রকল্পের অনুকূলে সরকারি বরাদ্দ এবং দাতা সংস্থার অনুদান থেকে। ফলে নতুন কোনো প্রকল্প অনুমোদন না হলে উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।

সরকারি প্রকল্প কমে যাওয়ায় অর্থ বরাদ্দও কমছে। এজন্য বাজেটের আকার ছোট হচ্ছে। চলতি বছরের বাজেট হবে বাস্তবভিত্তিক।

বাজেট ঘোষণাকালে চব্বিশের শহীদ শেখ মো. সাকিব রায়হানের পিতা শেখ আজিজুর রহমান ও মাতা নুরুন্নাহার বেগম, সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান মনি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ আসিফ রহমান, বাজেট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, চিফ প্লানিং অফিসার (চলতি দায়িত্বে) আবির উল জব্বার, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, বাজেট কাম অ্যাকাউন্ট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা, নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, নগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, নায়েবে আমির মো. নজিবুর রহমান সরদার, বৃহত্তর উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ প রকল প অফ স র বর দ দ নত ন ক বছর র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন