ইসরায়েলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছে বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
Published: 13th, September 2025 GMT
ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি সরকারের পদক্ষেপে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা সংস্থা ইসরায়েলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে - যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, গাজার বেশিরভাগই এলাকাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজায় এখন ‘মানবসৃষ্ট’ দুর্ভিক্ষ চলছে।
গাজায় ইসরায়েরি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। গত বছর ব্রাজিলের সিয়ারার ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয় একটি ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে উদ্ভাবনী শীর্ষ সম্মেলন বাতিল করেছে। একইসময় নরওয়ে, বেলজিয়াম এবং স্পেনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন সহ অন্যান্যরাও চলতি গ্রীষ্মে একই পদক্ষেপ নিয়েছে।
আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি ছাত্র বিনিময় কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে। ইউরোপীয় সামাজিক নৃবিজ্ঞানী সমিতি ইসরায়েলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি ক্যাম্পেইন ফর দ্য একাডেমিক অ্যান্ড কালচারাল বয়কট অফ ইসরায়েলের স্টেফানি অ্যাডাম বলেন, ইসরায়েলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ইসরায়েলের দশকব্যাপী সামরিক দখলদারিত্ব, বসতি স্থাপনকারী ঔপনিবেশিক বর্ণবাদ এবং এখন গণহত্যার’ সাথে জড়িত।
তবে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির খুব কম প্রতিষ্ঠানই ইসরায়েলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে। ইউনিভার্সিটিস ইউকে (ইউইউকে) জানিয়েছে, তারা শিক্ষা বয়কটকে সমর্থন করে না।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক, ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত। যেখানে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। আর দুই দেশের জনগণই হবে অংশীদারত্বের অংশীজন।
গত সোমবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ২০২৫ সালে এনডিসি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ভারতীয় হাইকমিশনার তাঁর বক্তৃতায় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি ও উন্নয়ন কৌশল তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা, বৈশ্বিক শাসনকাঠামোর সংস্কার এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের স্বার্থ রক্ষায় ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার পাশাপাশি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও দ্রুত জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।
তিনি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার—‘প্রতিবেশী প্রথমে’, ‘পূর্বমুখী নীতি’, ‘মহাসাগর নীতি’ এবং ভারতের ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় রূপকল্পের আওতায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং ভৌগোলিক ঘনিষ্ঠতা আরও জোরদার করা উচিত। যাতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষাকে এমন সব সুযোগে পরিণত করবে, যা পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সংহতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। বিমসটেকের সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত এবং এটি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে প্রবৃদ্ধির সুযোগগুলোর বাস্তবায়নে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে।