গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গকসু) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ৬৭ জন প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে রিটার্নিং অফিস। বাদ পড়েছেন সাতজন। তাদের মধ্যে চারজন স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় সিনেটে ৫ ছাত্র প্রতিনিধি ঠিক করল ডাকসু
রাকসু নির্বাচন: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ আজ
রিটার্নিং অফিস জানায়, ডোপ টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়লে কিংবা পরীক্ষায় অংশ না নিলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে। তফসিল অনুযায়ী কয়েকজন প্রার্থী নিজ উদ্যোগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
চূড়ান্ত তালিকায় সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন- রাজিব হোসেন (ফলিত গণিত), আবু সুফিয়ান মুছা (ভেটেরিনারি), রাকিব (আইন), মো.
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে রয়েছেন- মো. রায়হান খান (ভেটেরিনারি), আফসানা মিমি (এমপিবিএমই), মো. অন্তু দেওয়ান (আইন) ও রিদুয়ানুল ইসলাম মানিক (বিএমবি)।
সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. জাহিদ হাসান (কৃষি), শিফাতুর রহমান শিশির (ইংরেজি) ও সামিউল হাসান শোভন (এমপিবিএমই)।
কোষাধ্যক্ষ পদে আছেন ওবাইদুর রহমান সবুজ (বিবিএ), জাহিদ হাসান (আইন), খন্দকার আব্দুর রহিম (ফার্মেসি) ও সালাউদ্দীন (সিএসই)। ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন মাহমুদুল হাসান রাব্বি (আইন), মো. আবদুল্লাহ আল বাকির (সিএসই) ও ফয়সাল আহমেদ (বাংলা)।
এছাড়া বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে কৃষি, ভেটেরিনারি, কলা ও সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে আছেন- ভিপি পদে মো. জামিল রাব্বি (ভেটেরিনারি), সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. আলিমুল হাসান (ইইই), নাদিয়া ইসলাম তৃষা (এমপিবিএমই) ও সুমাইয়া আক্তার জেরিন (আইন), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নামিরা জামান (এমপিবিএমই), সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে মো. রাকিবুল হাসান জয় (আইন) এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জান্নাতুল ফেরদৌস লামিশা (বাংলা)।
রিটার্নিং অফিসের তথ্যানুযায়ী, জামিল রাব্বি, সুমাইয়া আক্তার জেরিন, নামিরা জামান ও রাকিবুল হাসান জয় স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
সর্বশেষ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এবারের নির্বাচন।
ঢাকা/সানজিদা/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।