জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে অনশন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এ অনশন শুরু করেন তারা।

আরো পড়ুন:

শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে চেয়ারম্যান শূন্য জবির সিএসই বিভাগ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন

এর আগে, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল।

অনশনে অংশ নেওয়া জবি শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ অভিযোগ করে বলেন, “মন্ত্রণালয়ের সব শিকল ভাঙলেও আমাদের অধিকার জবি প্রশাসনের কাছে আটকে আছে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে না পারার কারণেই আমরা আজো বঞ্চিত। এখন আবার বিভিন্নভাবে বৃত্তি কাটছাঁটের চেষ্টা চলছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”

সংগঠনের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। সিদ্ধান্ত এখন প্রশাসনের হাতে। সম্পূরক বৃত্তি নিয়ে যে নাটক শুরু হয়েছে, তার দ্রুত সমাপ্তি চাই।”

অন্যদিকে জবি ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি দিয়েও প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। তাই অনশন ছাড়া আমাদের আর উপায় ছিল না। দাবি আদায় না হলে এর দায়ভার পুরোপুরি প্রশাসনকেই নিতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকরের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে ঘোষণা; কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে আধুনিকায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।

শিক্ষার্থীরা জানান, জকসু নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকার হলেও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি ও লাইব্রেরির আধুনিকায়নের দাবিও দীর্ঘদিন ধরে জানানো হলেও প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। প্রয়োজনে প্রাণ দিতে হলেও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।

স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।

কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।

অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে