ডিসেম্বর মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আশ্বাস জবি উপাচার্যের
Published: 16th, September 2025 GMT
ডিসেম্বরের মধ্যেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ আশ্বাস দেন।
আরো পড়ুন:
জকসুর রোডম্যাপসহ ৩ দাবিতে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে চেয়ারম্যান শূন্য জবির সিএসই বিভাগ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
জবি উপাচার্য বলেন, “জকসু নিয়ে আমরা কাজ করছি। অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়ে যাবে। নির্বাচনের আগে আরো কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে, সেগুলো শেষ করার চেষ্টা চলছে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই জকসু নির্বাচন করার আশা করা যায়।”
তিনি বলেন, “বিশেষ বৃত্তি কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এসি) স্থাপনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে দুপুর থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন। দাবিগুলো হলো— শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকরের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে ঘোষণা; কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে আধুনিকায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, কেবল আশ্বাসে থেমে থাকবেন না তারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।