হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন দুই প্রার্থী
Published: 15th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচনে দুজনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে তাঁদের নামে ব্যালট নম্বর প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমজাদ হোসেন চৌধুরী এবং জার ট্রেডের স্বত্বাধিকারী মো. জাহিদুল হাসান। গত মঙ্গলবার শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সৈয়দ হাসান জোবায়েরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট দায়েরকারী আইনজীবী কে এম সাইফুল ইসলাম গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আগামী ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে আমজাদ হোসেন চৌধুরী সাধারণ শ্রেণিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এ শ্রেণি থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। আর মো.
চেম্বার সূত্র জানায়, সিআইবি প্রতিবেদন ইতিবাচক নয় এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের মূল কপি না থাকায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর আমজাদ হোসেন ও জাহিদুল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করা করা হয়। নির্বাচনী আপিল বোর্ড ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁদের আপিল নামঞ্জুর করে। এর ফলে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তাঁদের নাম নেই। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন দুই প্রার্থী।
রিট দায়েরকারী আইনজীবী কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড এই দুজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল। সে জন্য হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। শুনানি শেষে তাঁদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ প্রদান করেছেন আদালত। পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য ব্যালট নম্বরও দিতে বলা হয়েছে।
আমজাদ হোসেন চৌধুরী ও মো. জাহিদুল হাসান প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা আদালতের রায়সহ চেম্বারে নির্বাচনী বোর্ডের কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। চেম্বারের নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘নথিপত্র জমা হলে আমরা সেগুলো দেখব। যেহেতু আদালতের রায়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৮ অক্টোবর চেম্বারের নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন বোর্ড। সেদিন বেলা একটা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সাধারণ শ্রেণিতে মোট প্রার্থী ৩৬ জন। সহযোগী শ্রেণিতে মোট প্রার্থী ১৪ জন। এ ছাড়া ট্রেড ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে ৩ জন করে প্রার্থী রয়েছেন। এ বছর চেম্বারের মোট ভোটার ৬ হাজার ৭৮০ জন।
চট্টগ্রাম চেম্বারে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর সব কমিটি এসেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ব্যবসায়ীদের ভোটে চট্টগ্রাম চেম্বারে ১২ জন সাধারণ শ্রেণিতে, ৬ জন সহযোগী শ্রেণিতে এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ থেকে ৩ জন করে ৬ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এরপর নবনির্বাচিত পরিচালকেরা নিজেদের ভোটে একজন সভাপতি ও দুজন সহসভাপতি নির্বাচিত করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আমজ দ হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন বউ ঘরে রেখে মাঠে নেমেই সামির ৫ উইকেট
আফগান পেসার বিলাল সামির জীবনে সৌভাগ্য বয়ে এনেছেন তাঁর স্ত্রী। চলতি মাসের ৪ তারিখে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজের বিয়ের কথা জানান সামি। পোস্টে লিখেন, ‘গট ম্যারিড’। সামি তখনো বোধ হয় জানতেন না দুই দিন পরই ডাক আসবে আফগানিস্তান দলে। ছাড়তে হবে ঘর ও প্রিয় স্ত্রীকে।
কীভাবে জানবেন, সুযোগই যে পেয়েছেন একজনের চোটের কারণে। হুট করে আফগানিস্তান দলে সুযোগ পেয়ে বিয়ের দুই দিন পরই ঘরছাড়া সামির সামনেই গতকাল আবুধাবিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সামি সুযোগ পান আরেক পেসার মোহাম্মদ সালিমের চোটে। পেশির চোটে সিরিজ থেকে ছিটকে যান সালিম। সামি কালকের আগে আফগানিস্তানের হয়ে খেলেছেন মাত্র একটি ম্যাচ।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁর অভিষেক। অভিষেক ম্যাচে ৩ ওভারে দিয়েছিলেন ২৫ রান। উইকেট পাননি। এরপর আর দলে সুযোগ পাননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছন্দে ছিলেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার।
সম্প্রতি শেষ হওয়া গাজী আমানুল্লাহ খান রিজিওনাল ওয়ানডে টুর্নামেন্টে (আফগানিস্তানের ঘরোয়া লিস্ট এ প্রতিযোগিতা) সামি স্পিনঘার অঞ্চলের হয়ে খেলেন। সেখানে তিনি দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। ২২.৯০ গড় ও ৪.৯৭ ইকনোমি রেটে নিয়েছেন ১০ উইকেট। এমন পারফরম্যান্স আর একটু ভাগ্য তাঁকে আবার দলে ফেরার সুযোগ করে দেয়।
সামি বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে সুযোগ পাননি। সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত করা আফগানিস্তান কাল তাকে মাঠে নামায়। আর আফগানিস্তানের এমন সিদ্ধান্ত কাজেও লেগে যায়। নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই নেন ৩৩ রানে ৫ উইকেট। এটি সামির লিস্ট এ ক্রিকেটেও সেরা বোলিং।
আরও পড়ুনমিরাজরা ভাবছেন কীভাবে পরের সিরিজে ভালো করা যায়৫৭ মিনিট আগেসামি কাল শুরুটা করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেনকে বোল্ড করে। এরপর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও আউট হন এই পেসারের বলে। আফগানিস্তানের ২০০ রানের জয়ের দিনে শেষ তিনটি উইকেট নিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন সামি। আউট করেন রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদকে। ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তাঁর হাতে।
ম্যাচসেরার হয়ে সামি বলেছেন, ‘নিজের খেলা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। দল আমার পাশে ছিল। কাজটা সহজ ছিল না, কারণ দলে অনেক বিকল্প আছে। খুবই ভালো লেগেছে আজ (কাল) নিজের সেরাটা দিতে পেরেছি।’
আরও পড়ুনবিপিএলের টাকার ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও১১ ঘণ্টা আগে