শেখ হাসিনা এবং সজীব ও পুতুলের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের অসন্তোষ
Published: 27th, November 2025 GMT
ঢাকার পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির পৃথক তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দেওয়া আদালতের সাজার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো.
রায় ঘোষণার পর ঢাকা মহানগরের আদালত প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মইনুল হাসান বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছি, আমরা সেটা পাইনি। আমাদের নিয়োগকর্তা দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) সঙ্গে আলোচনা করে এ মামলার আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
অপর আইনজীবী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আদালত বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা প্রমাণিত হয়নি। শুধুমাত্র দুদকের আইনের ৫(২) ধারা প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের সাজা হয়েছে। আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা ও দুদক আইনের ৫(২) ধারা প্রমাণিত হয়েছে। দণ্ডবিধির ১৬১, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা প্রমাণিত হয়নি।’
এই তিন মামলায় ১০৯ ধারা প্রমাণিত হলে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আরও পড়ুনপ্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় হাসিনা, জয় ও পুতুলের কারাদণ্ড, কার কত বছরের৪ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত বিজয়ী হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে : মাও. জব্বার
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, মানুষের সৃষ্টিকর্তা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আল কুরআন নাযিল করেছেন,আল কুর আনের বিধান দিয়ে দেশ পরিচালিত হলেই কেবল মানুষ আইনের শাসন পেতে পারে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের আইনের শাসন উপহার দেওয়ার জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জামায়াত বিজয়ী হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অতীতের অনেক শাসক দেখেছি যারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে মিস্টি মিস্টি কথা বলেছে তারপর ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতি আর দু:শাসন জাতিকে উপহার দিয়েছে।
দুর্নীতি আর দু:শাসন দূর করতে হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ি পাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা কথা দিচ্ছি আমাদের কথা এবং কাজে মিল থাকবে।
উক্ত গণসংযোগে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মাঈন উদ্দিন মিয়া, আইনজীবী থানা সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর দেওয়ান সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট নিজামউদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার, অ্যাডভোকেট গোলাম মর্তুজা, অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন, এডভোকেট সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট ওয়ালিউল্যা রাসেল, এডভোকেট ওমর ফারুক প্রিন্স, অ্যাডভোকেট শেখ ফয়সাল লাভলু, এডভোকেট কাওসার মিয়া, অ্যাডভোকেট নূরে আলম, অ্যাডভোকেট তাওফিকুল ইসলাম সহ জামায়াতের আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।