কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন জেলা বিএনপির সম্পাদক মাজহারুল
Published: 15th, October 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর) আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। আজ বুধবার দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘দলের সংকটময় সময়ে যেকোনো কর্মসূচিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। বর্তমানে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছি।’ দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে কিশোরগঞ্জের মাটি ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবেন বলে তিনি জানান।
জেলা বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি কিশোরগঞ্জের রাজপথে ছিলেন। তরুণ কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে নির্যাতন, মামলা, জেল-জুলুম সবকিছুর মধ্যেও জনগণের পাশে থেকেছেন। তাঁর এই প্রার্থিতা ঘোষণা কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়, এটি তাঁর লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক অবিচল অঙ্গীকার।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপি গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে বাধা সৃষ্টি করবে না, প্রত্যাশা সিইসির
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে এনসিপি গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে বাধা সৃষ্টি করবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। এ ছাড়া নির্বাচনের সময় ফ্যাক্টচেক (যাচাই–বাছাই) না করে কোনো সংবাদ পরিবেশন না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সিইসি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, এবার লুকিয়ে, রাতের আঁধারে কোনো ভোট হবে না।
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাসির উদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে এনসিপির ধারণা আছে। তাই গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে এনসিপি বাধা সৃষ্টি করবে না বলেই প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, ‘যারা এনসিপির নেতৃত্বে আছেন, তাঁরা ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান চলাকালে সম্মুখ সারিতে থেকে আন্দোলন করেছেন। তাঁরা গণতন্ত্রায়ণের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন না—সেটা আমি বিশ্বাস করি।’
সিইসি বলেন, ‘কোনো দল যখন নিবন্ধন পায়, আমাদের যে নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা, সেখান থেকে তাকে প্রতীক নিতে হয়। যেহেতু শাপলা আমাদের তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। এখন পর্যন্ত তালিকার বাইরে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি।’
নতুন করে প্রতীক যোগ করতে অসুবিধা আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ‘কোনো অসুবিধা নেই’ বলেও জানান সিইসি।