2025-06-19@18:08:26 GMT
إجمالي نتائج البحث: 9
«১৯৭৯ স ল র»:
ইরানকে ঘিরে ‘রেজিম চেঞ্জ’ বা শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ধারণা নতুন নয়। পশ্চিমা বিশ্বের বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ইরানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ইতিহাস দীর্ঘ এবং বহুবার তাদের কার্যক্রম ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এই ইতিহাস একদিকে পশ্চিমের ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা’র ভাষ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, অন্যদিকে ইরানের জনগণের মধ্যে জন্ম দিয়েছে এক গভীর অবিশ্বাস। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাত যখন আরো তীব্র হয়ে উঠেছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন; ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মার্কিন বাহিনীর জন্য ‘একজন সহজ লক্ষ্য’। মঙ্গলবার ১৭ জুন ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “আমরা এখনই তাকে সরাচ্ছি না (হত্যা করছি না!), তবে আমাদের ধৈর্য শেষ হয়ে যাচ্ছে।” আরো পড়ুন: তেহরানের ‘জেন জি’: আমার ঘরই...
ইসরায়েল আজ শুক্রবার ভোররাতে ইরানে বিমান হামলা চালিয়েছে। তেহরানের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওমানে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আয়োজিত একটি বৈঠকের একদিন আগেই এ হামলার ঘটনা ঘটল।২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কয়েকবার ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। তেহরানে ইসরায়েলের সবশেষ এই হামলার ফলে দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। ইসরায়েল ও ইরানের শত্রুতা নতুন কিছু নয়। কয়েক দশক ধরে দুই দেশ স্থল, সমুদ্র, আকাশ এবং সাইবার হামলাসহ একে অপরের বিরুদ্ধে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে আসছে। এসব সংঘাত তাদের সম্পর্ককে বৈরিতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, যা এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ্য যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে।ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে গত কয়েক দশকে হওয়া প্রধান প্রধান উত্তেজনাপূর্ণ কিছু ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো— ১৯৭৯: ইরানে বিপ্লবইরানের পশ্চিমাপন্থী নেতা মোহাম্মদ...
সৈয়দ রুহুল্লাহ মুসাবি খোমেনি (১৯০২–১৯৮৯) ছিলেন বিশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামি চিন্তাবিদ, রাজনীতিক ও ধর্মীয় নেতা। তিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবন ও চিন্তাধারা শুধু ইরান নয়, গোটা মুসলিম বিশ্বে গভীর প্রভাব ফেলেছে।খোমেনি ১৯০২ সালে ইরানের খোমেন শহরে জন্মগ্রহণ করেন একটি ধর্মপরায়ণ শিয়া পরিবারে। ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর তিনি কোম শহরে গিয়ে ইসলামি শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন। ফিকহ (ইসলামি আইন), দর্শন ও আধ্যাত্মিকতার গভীর অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে তিনি একজন মুজতাহিদ বা স্বাধীন ধর্মীয় ব্যাখ্যাদানের যোগ্য আলেম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।১৯৬০-এর দশকে সৈয়দ রুহুল্লাহ ইরানের রাজতন্ত্র, বিশেষত মোহাম্মদ রেজা শাহ পহলভির পশ্চিমঘেঁষা ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ১৯৬৩ সালের ৫ জুন তাঁর নেতৃত্বে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ, যা ‘১৫ খরদাদ বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। সরকারের বিরুদ্ধে এই...
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ-২০২৫ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সচিবালয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। পরিষদের সভাপতি মো. বদিউল কবীর অনুমোদিত অধ্যাদেশের খসড়াকে কালাকানুন আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘এটি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।’ রোববার দুপুরে তিনি এই ঘোষণা দেন। এরপর সচিবালয় চত্বরে বাদামতলায় অবস্থান নিয়েছেন কর্মচারীরা। এর আগে সকালে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন তাঁরা। সকালে সচিবালয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে মিছিলে যোগ দেন। বিপুলসংখ্যক কর্মচারীর উপস্থিতিতে মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হয় ‘অবৈধ কালো আইন মানব না’। মিছিল সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে শনিবারও একই দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছেন। ‘সরকারি চাকরি...
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি বর্তমান প্রজন্ম। কিন্তু আমাদের সত্তার পরিচয়ের অনন্য ৯ মাস নানাভাবে ধারণ করে তরুণেরা। আমাদের সংগ্রামের সেই গৌরবোজ্জ্বল দিনগুলো বুক ফুলিয়ে বয়ে বেড়ানো তরুণরা ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠা ভাস্কর্যে নিজেদের সাহস আর দেশাত্মবোধের চেতনা খুঁজে পায়। যে চেতনায় ভর করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার বেলায় তারা দেখায় বুকভরা সাহস আর অদম্য তেজ। তরুণদের সাহস জোগানো এমনই কয়েকটি ভাস্কর্য নিয়ে এই আয়োজন... ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজেয় বাংলা’ ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণের দৃশ্য নান্দনিকভাবে ফুটে উঠেছে। ভাস্কর্যটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি প্রতীকী রূপও বলা চলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এই ভাস্কর্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়ে উঠছে। বন্দুক কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা তিন নারী-পুরুষের ভাস্কর্যটি সর্বস্তরের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ...
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার কাজ শুরু করতে এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিভাগকে ভেঙে দেওয়া ট্রাম্পের রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টির দীর্ঘদিনের লক্ষ্য। তবে এটিকে পুরোপুরি বিলুপ্ত করা হয়তো সম্ভব হবে না। কেননা, এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর শিক্ষা বিভাগ এরই মধ্যে তাদের জনশক্তি অর্ধেক কমিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাওয়ার আগেই ট্রাম্প শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার ইচ্ছার কথা ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ধনকুবের ইলন মাস্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন। সেখানে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করতে চাই। শিক্ষাকে অঙ্গরাজ্যগুলোয় ফিরিয়ে দিতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা বিশ্বজুড়ে তাদের সমবয়সী শিক্ষার্থীদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে।’ফেডারেল শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত হলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে উল্লেখ...
মিচেল স্টার্ক নেই, প্যাট কামিন্স নেই, নেই জশ হ্যাজলউডও। অস্ট্রেলিয়া আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শুরু করছে তিন নিয়মিত ও অভিজ্ঞ পেসারকে ছাড়া। এক যুগ পর এই প্রথম ৫০ ওভারের আইসিসি টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচে তিনজনের একজনও নেই। অথচ গত ১২ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া যে দুবার বিশ্বকাপ জিতেছে, দুটিতেই ছিলেন তাঁরা তিনজন।স্টার্ক, কামিন্স ও হ্যাজলউডকে না পাওয়াটা ‘বিগ লস’ই মনে হচ্ছে স্টিভেন স্মিথের। তিন অভিজ্ঞ পেসারের বদলে যাঁরা দলে আছেন, তাঁদের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা যে ১৯৭৯ সালের পর আইসিসি টুর্নামেন্টে সর্বনিম্ন!এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তিন পেসারের মধ্যে সবার আগে ছিটকে গেছেন হ্যাজলউড। ডানহাতি এ পেসার নিতম্বের চোটে ভুগছেন। এরপর হাঁটুর চোটে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায় কামিন্সেরও। কামিন্স শুধু পেস আক্রমণের একজনই নন, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কও। তাঁর জায়গায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্মিথকে।হ্যাজলউড, কামিন্স ছিটকে গেলেও...
চঞ্চল চৌধুরী। অভিনেতা। গত বুধবার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিরিজ ‘ফেউ’। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার মরিচঝাঁপিতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার পটভূমিতে সিরিজটি গড়ে উঠেছে। এই সিরিজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে– আপনার অভিনীত ‘ফেউ’ সিরিজ নিয়ে বলুন? একটি জনগোষ্ঠীর টিকে থাকার লড়াই নিয়ে তৈরি হয়েছে সিরিজটি। তাদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত হওয়া। তাদের জীবনের সংকট, জীবন-মরণ– সবকিছু মিলিয়ে অনবদ্য একটি গল্প। এটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হলেও গল্পটি খুব বেশি মানুষ জানে না। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার মরিচঝাঁপির গণহত্যা নিয়ে সিরিজের গল্প। নির্মাতার কাছে থেকে যখন প্রথম গল্পটি শুনি, তখন খুব চিন্তায় ছিলাম কীভাবে সে পর্দায় দেখাবে। সেই কঠিন কাজটি খুব ভালোভাবেই করতে পেরেছেন নির্মাতা। গল্পটি দর্শকদের ভিন্ন দুটি সময়ের...
‘রিফিউজিগো দ্যাশ-জাত বইলে কিছু আছে নাকি! আমরা তো মন্দিরের ঘণ্টার মতো। যে বাজায়, খালি বাইজে যাই।’ শনিবার রাত ৮টায় প্রকাশ পাওয়া নতুন ওয়েব সিরিজ ফেউ–এর টিজারে ছিল এই একটি সংলাপ। কোনো চরিত্র প্রকাশ করা হয়নি। তবে উচ্চারিত সংলাপ থেকে ধারণা পাওয়া যায়, শরণার্থীদের নিয়ে কোনো গল্প বলতে চাইছেন নির্মাতা। চরকির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। টিজারের ক্যাপশনে লেখা, ‘কী ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে? কী লুকানো হয়েছে আমাদের কাছ থেকে? চরকিতে শিগগিরই আসছে সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ “ফেউ”।’পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার দ্বীপ মরিচঝাঁপি। দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারত পাড়ি দিয়েছিল। নানা ঘাত–প্রতিঘাত পেরিয়ে নিম্নবর্ণের (নমঃশূদ্র) হিন্দুধর্মাবলম্বীদের একটা অংশ এসে এই মরিচঝাঁপিতে আশ্রয় নেয়। সরকারি আশ্বাসেই সেখানে আবাস গড়ে তোলেন তাঁরা।‘ফেউ’–এর...