ইসলামি বিপ্লবে পদচ্যুত শাহর পুত্রকে ব্রিটিশ এমপিদের আমন্ত্রণ
Published: 1st, July 2025 GMT
ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির নির্বাসিত ছেলে রেজা পাহলভি আগামী সোমবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও লেবার পার্টির একাধিক সূত্র মিডল ইস্ট আইকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মিডল ইস্ট আইয়ের দেখা এ–সংক্রান্ত এক আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে, পাহলভি ব্রিটিশ এমপি ও আইনসভার উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্যদের উদ্দেশে ‘ইরানে চলমান পরিস্থিতি, বর্তমান শাসনব্যবস্থার সম্ভাব্য পতন ও দেশে একটি স্থিতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে তাঁর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরবেন’।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনে একটি কমিটির কক্ষে বিকেল পাঁচটায় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করেছেন লেবার এমপি লুক একেহার্স্ট ও কনজারভেটিভ এমপি আফরা ব্র্যান্ডরেথ।
মিডল ইস্ট আইকে একহার্স্ট বলেন, ইরানি জনগণই নির্ধারণ করবেন, তাঁরা কী ধরনের সরকার চান। তবে ইরানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন বিরোধী কণ্ঠ কী বলছে, স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো শোনায় এমপিদের আগ্রহ থাকবে।
পাহলভি তাঁর সমর্থকদের কাছে ‘নির্বাসিত রাজা’ নামে পরিচিত। ৬৪ বছর বয়সী রেজা পাহলভি ইরানের প্রয়াত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির জ্যেষ্ঠ পুত্র। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত চলা গণ-অভ্যুত্থানে তাঁর বাবা ক্ষমতাচ্যুত হন। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের ইসলামি প্রজাতন্ত্র (বর্তমান ইরান)।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত রাজতন্ত্রের এক অকৃত্রিম সমর্থক হিসেবে রেজা পাহলভি দীর্ঘদিন ধরেই ইরানে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশায় কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে তিনি একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ছবি তুলেছেন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটলে নিজেকে ‘আধুনিক ইরানের একমাত্র কার্যকর নেতৃত্ব’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।লেবার মুসলিম নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান আলী মিলানি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করার অর্থ, ‘স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রামে নিয়োজিত প্রত্যেক ইরানির মুখে একপ্রকার চপেটাঘাত’।
মিলানি বলেন, রেজা পাহলভি তাঁর পুরো জীবন নির্বাসনে কাটিয়েছেন, কিন্তু কখনোই তাঁর বাবার নিপীড়নমূলক শাসনের নিন্দা করতে রাজি হননি।
মিলানি আরও বলেন, পাহলভির বাবার শাসনামলে বিশেষ পুলিশ বাহিনী অগণিত ইরানিকে গুম, নির্যাতন ও হত্যা করেছে। অথচ এসব ভয়াবহ ঘটনার দায় তিনি কখনো যথাযথভাবে স্বীকারই করেননি।
শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি (বাঁয়ে), স্ত্রী ফারাহ পাহলভি ও ছেলে রেজা। ২৬ অক্টোবর ১৯৬৭.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামি বিপ্লবে পদচ্যুত শাহর পুত্রকে ব্রিটিশ এমপিদের আমন্ত্রণ
ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির নির্বাসিত ছেলে রেজা পাহলভি আগামী সোমবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও লেবার পার্টির একাধিক সূত্র মিডল ইস্ট আইকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মিডল ইস্ট আইয়ের দেখা এ–সংক্রান্ত এক আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে, পাহলভি ব্রিটিশ এমপি ও আইনসভার উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্যদের উদ্দেশে ‘ইরানে চলমান পরিস্থিতি, বর্তমান শাসনব্যবস্থার সম্ভাব্য পতন ও দেশে একটি স্থিতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে তাঁর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরবেন’।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনে একটি কমিটির কক্ষে বিকেল পাঁচটায় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করেছেন লেবার এমপি লুক একেহার্স্ট ও কনজারভেটিভ এমপি আফরা ব্র্যান্ডরেথ।
মিডল ইস্ট আইকে একহার্স্ট বলেন, ইরানি জনগণই নির্ধারণ করবেন, তাঁরা কী ধরনের সরকার চান। তবে ইরানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন বিরোধী কণ্ঠ কী বলছে, স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো শোনায় এমপিদের আগ্রহ থাকবে।
পাহলভি তাঁর সমর্থকদের কাছে ‘নির্বাসিত রাজা’ নামে পরিচিত। ৬৪ বছর বয়সী রেজা পাহলভি ইরানের প্রয়াত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির জ্যেষ্ঠ পুত্র। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত চলা গণ-অভ্যুত্থানে তাঁর বাবা ক্ষমতাচ্যুত হন। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের ইসলামি প্রজাতন্ত্র (বর্তমান ইরান)।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত রাজতন্ত্রের এক অকৃত্রিম সমর্থক হিসেবে রেজা পাহলভি দীর্ঘদিন ধরেই ইরানে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশায় কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে তিনি একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ছবি তুলেছেন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটলে নিজেকে ‘আধুনিক ইরানের একমাত্র কার্যকর নেতৃত্ব’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।লেবার মুসলিম নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান আলী মিলানি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করার অর্থ, ‘স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রামে নিয়োজিত প্রত্যেক ইরানির মুখে একপ্রকার চপেটাঘাত’।
মিলানি বলেন, রেজা পাহলভি তাঁর পুরো জীবন নির্বাসনে কাটিয়েছেন, কিন্তু কখনোই তাঁর বাবার নিপীড়নমূলক শাসনের নিন্দা করতে রাজি হননি।
মিলানি আরও বলেন, পাহলভির বাবার শাসনামলে বিশেষ পুলিশ বাহিনী অগণিত ইরানিকে গুম, নির্যাতন ও হত্যা করেছে। অথচ এসব ভয়াবহ ঘটনার দায় তিনি কখনো যথাযথভাবে স্বীকারই করেননি।
শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি (বাঁয়ে), স্ত্রী ফারাহ পাহলভি ও ছেলে রেজা। ২৬ অক্টোবর ১৯৬৭