হেডিংলিতে অধিনায়কত্বের অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেকে নিয়ে গেলেন আরও উচ্চতায়। এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ বলে ৩০ চার ও ৩ ছক্কায় ২৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন শুবমান গিল। ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের ডাবল সেঞ্চুরিটি রেকর্ড বইয়ে অনেক কিছুই নতুন করে লিখিয়ে নিয়েছে।১

ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে উপমহাদেশের বাইরে আড়াই শর বেশি রানের ইনিংস এই প্রথম। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি আড়াই শ ছাড়ানো ইনিংস আছে বীরেন্দর শেবাগের। একটি করে ভিভিএস লক্ষ্মণ, রাহুল দ্রাবিড়, করুন নায়ার, বিরাট কোহলির। তবে কোনোটিই এশিয়ার বাইরে নয়। ভিন্ন মহাদেশে এত দিন সর্বোচ্চ ছিল ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে শচীন টেন্ডুলকারের ২৪১*।

২৬৯

ভারতের কোনো ব্যাটসম্যানের ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এখন গিলের। ১৯৭৯ সালে ওভালে সুনীল গাভাস্কারের করা ২২১ রানকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।

ভারত অধিনায়কদের মধ্যে ডাবল সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান। সবচেয়ে কম বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটি মনসুর আলী খান পতৌদির, ১৯৬৪ সালে দিল্লিতে ২০৩* রানের ইনিংসের সময় তাঁর বয়স ছিল ২৩ বছর ৩৯ দিন। আজ গিলের বয়স ২৫ বছর ২৯৮ দিন।

ইংল্যান্ডের মাটিতে মোট ১১জন অধিনায়ক ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন (ইংল্যান্ডের ৪ জন, বিদেশি ৭ জন)। এর মধ্যে গিলের চেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি আছে শুধু গ্রায়েম স্মিথের। ২০০৩ সালে এজবাস্টন ও লর্ডসে টানা দুই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক, যার প্রথমটি ছিল ২২ বছর ১৭৫ দিন বয়সে।

ভারতের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে দেশের বাইরে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন গিল। ২০১৬ সালে অ্যান্টিগায় প্রথম কীর্তিটি ছিল বিরাট কোহলির।

বিদেশি টেস্ট অধিনায়কদের মধ্যে এখন ইংল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি গিলের। ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বব সিম্পসনের ৩১১ রান এখনো সর্বোচ্চ, দ্বিতীয় স্থানে আছে ২০০৩ সালে এজবাস্টনে গ্রায়েম স্মিথের ২৭৭ রান।

ভারতের হয়ে দেশের বাইরে তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এখন গিলের। ২০০৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুলতানে শেবাগের ৩০৯ ও রাওয়ালপিন্ডিতে রাহুল দ্রাবিড়ের ২৭০ শীর্ষ দুইয়ে।  

২০০২ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের পর প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন গিল। এ দুজনের বাইরে ইংল্যান্ডে ডাবল সেঞ্চুরি আছে আর একজনের—       সুনীল গাভাস্কার (১৯৭৯ সালে)।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড বল স ঞ চ র ব য টসম য ন র ন র ইন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

যথাসময়ে জকসু নির্বাচন না হলে প্রশাসনকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে

বিভিন্ন মহল থেকে ‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ছাত্রশক্তি সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের প্রার্থীরা। যথাসময় জকসু নির্বাচন না হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদত্যাগ করে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তারা।

‎বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক পদপ্রার্থী ও জবি শাখা জাতীয় ছাত্রশক্তির মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ।

তিনি বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে পরিকল্পিতভাবে জকসু নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চলছে। ভূমিকম্পের অজুহাতে অযথা ছুটি বাড়িয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা দৃশ্যমান। জকসু নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা সহ্য করা হবে না।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে ফেরদৌস শেখ বলেন, নির্বাচন কমিশন এক প্যানেলকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে শোকজ নোটিশ দিলেও আরেকটি প্যানেলের প্রকাশ্য লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে গভীর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

‎তিনি আরো বলেন, ভূমিকম্পের পর ঘোষিত দুই সপ্তাহের ছুটি ছিল অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। এতে সেমিস্টার সূচি, পরীক্ষা ও চাকরির আবেদনের সুযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। অথচ, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মেরামতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

জাতীয় ছাত্রশক্তির জবি শাখার এই নেতা বলেন, সম্পূরক বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা সময়মতো প্রকাশ করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে তালিকা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি থাকলেও ডিসেম্বরেও তা প্রকাশ করা হয়নি।

‎‎ফেরদৌস শেখ বলেন,‎ জকসু নির্বাচন যথাসময় করতে হলে আগামী রবিবারের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া আমরা মেনে নেব না।

তিনি আরো বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, ১৮ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হবে। তার আগে জকসু নির্বাচন দিতে হবে। ছাত্রদের নির্বাচন বানচাল করে শিক্ষকদের নির্বাচন আমরা করতে দেব না।

ঢাকা/লিমন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ