যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের কাজ কী, ট্রাম্প কি আসলেই এটি বিলুপ্ত করতে পারবেন
Published: 22nd, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার কাজ শুরু করতে এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিভাগকে ভেঙে দেওয়া ট্রাম্পের রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টির দীর্ঘদিনের লক্ষ্য। তবে এটিকে পুরোপুরি বিলুপ্ত করা হয়তো সম্ভব হবে না। কেননা, এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর শিক্ষা বিভাগ এরই মধ্যে তাদের জনশক্তি অর্ধেক কমিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাওয়ার আগেই ট্রাম্প শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার ইচ্ছার কথা ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ধনকুবের ইলন মাস্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন। সেখানে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করতে চাই। শিক্ষাকে অঙ্গরাজ্যগুলোয় ফিরিয়ে দিতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা বিশ্বজুড়ে তাদের সমবয়সী শিক্ষার্থীদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে।’
ফেডারেল শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত হলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে উল্লেখ করে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, এতে শিক্ষা খাতে খরচ অর্ধেক কমবে। ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী বক্তব্যেও এ বিভাগ বিলুপ্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সংস্থাটির বিরুদ্ধে ট্রাম্প ও তাঁর মিত্রদের অভিযোগ, এটি তরুণদের বর্ণবাদ, যৌনতা ও রাজনৈতিক বিষয়ে দীক্ষিত করছে।
১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ।
১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ দেশটির সরকারি স্কুলগুলোর অর্থায়ন তদারকি ও শিক্ষার্থীদের ঋণ দেখভাল এবং স্বল্প আয়ের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে।শিক্ষা বিভাগ কী করে, কী করে নাকেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ নিয়ে একটা সাধারণ ভুল ধারণা রয়েছে যে এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলো পরিচালনা ও পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করে। এ দুই কাজের দায়দায়িত্ব আসলে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট কর্তৃপক্ষের।
প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্কুলগুলোর অর্থায়ন তদারকি ও শিক্ষার্থীদের ঋণ কর্মসূচির দেখভাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্প আয়ের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে শিক্ষা বিভাগ।
প্রতিবন্ধিত্বের শিকার ও দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করা অন্য শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতেও তহবিলসংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে এ বিভাগ।
কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত স্কুলগুলোতে বর্ণ ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য রোধে প্রণীত নাগরিক অধিকার আইনগুলোও কার্যকর করে শিক্ষা বিভাগ।
মার্কিন শিক্ষা দপ্তরের বার্ষিক বাজেটের পরিমাণ প্রায় ২৩৮ বিলিয়ন ডলার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ল প ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের কাউন্সিল কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান তফসিল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করা হবে। ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ ১ থেকে ৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ১ থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীগণ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ জুলাই।
মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ১১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আপিলের শুনানি গ্রহণ ও রায় ঘোষণা করা হবে ১৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জুলাই। ১৬ থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই।
১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের জাকসু নির্বাচন।
ঢাকা/আহসান/রাজীব