দশ জনের ইউনাইটেডের সঙ্গেও পারল না আর্সেনাল
Published: 13th, January 2025 GMT
এফ এ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আর্সেনাল। তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় রোববার রাতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদেরকে হারিয়েছে।
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসতি ছিল। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৩ গোলে জিতে পরবর্তী রাউন্ডে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যানইউর জয়ের নায়ক গোল রক্ষক আলতায় বানিনদির। নির্ধারিত সময়ে আর্সেনালের একটি স্পটকিক আটকে দেন। পরবর্তীতে টাইব্রেকারেও শট আটকে দেন।
ম্যাচের প্রথমার্ধ অনেকটা নিরুত্তাপ কেটেছে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এগিয়েছে ম্যাচ। দুয়েকটি সুযোগ দুই দলই তৈরি করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।
ম্যাচের মূল উত্তেজনা ছড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে। যেখানে দুই দল গোল করেন, মারামারিতে জড়ায়, লাল কার্ড পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
৫২ মিনিটে চমৎকার গোলে ব্রুনো ফার্নান্দেজ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন। বক্সের ডান দিক থেকে গার্নাচোর বাড়ানো পাস থেকে জোরাল শটে গোল করেন পর্তুগিজ তারকা।
কিন্তু ৭২ মিনিটে ইউনাইটেডের মাথায় চিন্তার ভাঁজ। আর্সেনাল পেনাল্টি পায়। কিন্তু প্রহরী হয়ে থাকা বানিয়াদি, মার্টিন ওডেগার্ডের নেওয়া শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন।
পেনাল্টি বক্সে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন কাই হাভার্টজ। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিলে দুই দলের ফুটবলাররা অতীত ঐতিহ্য ধরে রেখে মারামারিতে জড়ায়। অবশ্য পেনাল্টির আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১০ দলের দলে পরিণত হয়। ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় দালোতকে।
তার উঠে যাওয়ার পরপরই ৬৩ মিনিটে আর্সেনাল সমতায় ফেরেন। গ্যাব্রিয়েলে মার্তিনেল্লির ক্রসে ভলি করে গোল করেন আরেক গ্যাব্রিয়েল। এই ১-১ গোলের সমতাতেই নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ শেষ হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত মিনিটেও দশ জনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে বল পাঠাতে পারেনি আর্সেনাল।
টাইব্রেকারে আর্সেনালের কাই হাভার্টাজের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন বানিয়দি। অন্যদিকে ইউনাইটেড পাঁচ শটের পাঁচটিই জালে পাঠায়। তাতে আর্সেনালের শেষ শটটা নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।