ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া এলাকায় কুমিল্লাগামী লেনে সড়ক দুর্ঘটনা এবং যানবাহন বিকল হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ১৩ কিলোমিটারজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

ট্রাকচালক শফিক বলেন, ‘‘মেঘনা সেতু পার হওয়ার পর থেকে যানজট পেয়েছি। তবে, কী কারণে যানজট তা জানি না।’’

বাসচালক কুরবান আলী বলেন, ‘‘জামালদী থেকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। জানি না কতক্ষণে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।’’

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.

হুমায়ুন কবির বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাকবলিত এবং বিকল হওয়া গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরানোর কার্যক্রম চলছে। শীগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ