জামিন পেলেন চিন্ময়ের আইনজীবীসহ ৬৫ জন
Published: 13th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে আইনজীবী, পুলিশ ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগের পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন ৬৫ আইনজীবী। এর মধ্যে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আইনজীবী শুভাশিস শর্মাও রয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর খুন হওয়া আইনজীবী সাইফুল ইসলামের ভাই জানে আলম বাদী হয়ে ১১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন। এর মধ্যে ৭০ জন আইনজীবী রয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার আরেক মামলায় কিছু আইনজীবীকে আসামি করা হয়।
সরকারি কৌঁসুলি রিয়াদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দুই মামলায় ৬৫ আইনজীবী আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন মঞ্জুর হওয়া আইনজীবীদের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীও রয়েছেন।
এদিকে আইনজীবীদের জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা আদালত প্রাঙ্গণে সতর্ক পাহারায় ছিলেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আইনজীবীদের জামিন আবেদন শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
চট্টগ্রাম আদালতে আজ আইনজীবীদের জামিনের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে আদালত প্রাঙ্গণে ছিল বাড়তি নিরাপত্তা। আজ দুপুরে তোলা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস