নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জ এর ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে স্কুলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) স্কুল প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়। 

আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জ এর ম্যানেজিং কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান বাঙ্গালী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক সোসাইটি অফ নারায়ণগঞ্জের পরিচালক মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শাহীন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাওলানা আব্দুল জব্বার, ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন, আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জ এর উপাধ্যক্ষ মাসুদ করিম মোল্লা, আদর্শ স্কুল এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খন্দকার আবুল খায়ের ও রবিউল আলম খান, টিচার্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন ছাত্র ও সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, প্রাক্তন ছাত্র ডা: মফিজুল ইসলাম, ইসলামীক সোসাইটি অফ নারায়ণগঞ্জের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা ওমর ফারুকসহ স্কুলের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ।

 আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পূর্বে নারায়ণগঞ্জের কিছু শিক্ষানুরাগীর উদ্যোগে আদর্শ মানুষ গড়ার লক্ষ্যে "আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জ" প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইসলামিক সোসাইটি অফ নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত আদর্শ স্কুল হচ্ছে আদর্শ মানুষ গড়ার কারখানা।

এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র, হামলা মামলার শিকার হতে হয়েছে। তারপরেও আদর্শ স্কুলের অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারেনি। আদর্শ স্কুলে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দেয়া হয় যাতে করে আদর্শ স্কুলে শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী জীবনে একজন ভালো আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে।

এসময় ইসলামিক সোসাইটি অফ নারায়ণগঞ্জ এবং আদর্শ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে স্কুলটিকে আগামীতে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সবশেষে স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রয়াত নেতৃবৃন্দের স্মরণে এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষকমন্ডলী এবং শিক্ষার্থীদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

.

উৎস: Narayanganj Times

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর  রশিদ,  নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।

উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।

সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।

তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।

সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।

সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।

প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।

কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ  সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • ফতুল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
  • নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩
  • সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা রিয়াদের দুই মেয়ে গুরুতর আহত : দোয়া প্রার্থনা 
  • এমবাপ্পের ৫০তম গোলে পিছিয়ে পড়েও মার্শেইকে হারাল ১০ জনের রিয়াল
  • আড়াইহাজারের সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত