বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্ব বরাবরের মতো এবারও ছিল বিতর্কে মোড়ানো। খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই শুরু হয় ক্রিকেটারদের পাওনা-দেওনা নিয়ে বিতর্ক; যা চলে শেষ দিন পর্যন্ত। তাতে ঢাকা পড়ে যায় মাঠের পারফরম্যান্স।

১৬ জানুয়ারি ঢাকা ক্যাপিটালস-ফরচুন বরিশাল ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় চট্টগ্রাম পর্ব, আর শেষ হয় ২৩ জানুয়ারি খুলনা টাইগার্স-সিলেট স্ট্রাইকার্স ম্যাচ দিয়ে। 

১৫ জানুয়ারি বিতর্কিত কাণ্ডে শিরোনাম হয় পাঁচ বছর পর বিপিএলে ফেরা দল দুর্বার রাজশাহী। চেক বাউন্স হওয়ায় অনুশীলনে নামে না দলটির ক্রিকেটাররা, এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ ছুটে যান চট্টগ্রামে। 

আরো পড়ুন:

খুলনার প্রতিশোধে শেষ বিপিএল চট্টগ্রাম পর্ব

ব্যাটিং ছায়া থেকে বেরিয়ে বোলিং আনন্দে বার্ল

মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আশ্বস্ত করেন ক্রিকেটারদের। ৬৮ লাখ টাকা নেন গ্যারান্টি মানি। পরিস্থিতি শান্ত করেন।

একই কাণ্ড ঘটে চিটাগং কিংসের ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তাদেরও চেক বাউন্স হয়। রাজশাহীর মতো বয়কটের পথে হাঁটেননি তারা। তবে একসঙ্গে তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার একাদশ থেকে বাদ পড়ার পেছনে পাওনা-দেওনা ইস্যুই কাজ করেছে বলে জানা গেছে। 

রাজশাহী এবারের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি। মালিকানা বদল হওয়ায় চিটাগংকেও নতুন বলতে হবে। বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে বিপিএল মাঠে গড়ালেও মাঝ পথে এসে হোঁচট খেতে হয়েছে বড় বিতর্কে। 

চট্টগ্রাম পর্ব শেষে শুরু হয়েছে প্লে’অফের হিসাব-নিকাশ। সর্বোচ্চ ১০টি করে ম্যাচ খেলেছে দুর্বার রাজশাহী-ঢাকা ক্যাপিটালস। দল দুটির অবস্থান পঞ্চম ও ষষ্ঠ। মাত্র তিন জয় পাওয়া ঢাকার প্লে’অফের দৌড় শেষ বলাই চলে। চার জয় নিয়ে এখনো স্বপ্ন দেখতে পারে রাজশাহী। তা নির্ভর করছে যদি-কিন্তুর উপর। 

৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮ জয়ে প্লে’অফ নিশ্চিত রংপুর রাইডার্সের। তাদের লড়াই এখন শীর্ষ দুইয়ে থাকার। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দৌড়ে এগিয়ে আছে ফরচুন বরিশাল। এক ম্যাচ জিতলেই নিশ্চিত হবে প্লে’অফ। এরপর হিসাব আসবে কোয়ালিফায়ার নাকি এলিমেনেটর।

৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে চিটাগং কিংস। দুই ম্যাচ জিতলেই নিশ্চিত হবে প্লে’অফ। এক ম্যাচ জিতলেও সম্ভাবনা থাকবে, তবে নির্ভর করবে রান রেটের উপর। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট দ্বোটানায় আছে খুলনা টাইগার্স। শেষ তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতলে নিশ্চিত প্লে’অফ। এর কম জিতলে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের দিকে।

বাকি রইলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে’অফের দৌড়ে ছিটকে গেছে বললেই চলে। সঙ্গে ঢাকাও একই পথে। শেষ পর্যন্ত প্লে’অফের চারটি জায়গার লড়াইয়ে আছে পাঁচ দল। রংপুর-বরিশালের এক প্রকার নিশ্চিত হওয়ায় আরও স্পষ্ট করে বললে দুটি স্থানের জন্য লড়াই করবে তিন দল।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স‌চিবাল‌য়ে কর্মচারী‌দের বি‌ক্ষোভ, চল‌বে মঙ্গলবারও 
  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা