ফরিদপুর-৪ আসন পুনর্বহালের দাবিতে চরভদ্রাসনে মানববন্ধন
Published: 27th, January 2025 GMT
ফরিদপুর-৪ (সদরপুর-চরভদ্রাসন) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে চরভদ্রাসনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে আধাঘণ্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসহ স্থানীয় নানা শ্রেণি পেশার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
সাবেক সচিব ও ফরিপুর-৪ সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক মো.
বক্তারা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন বর্তমানে ফরিদপুর-৪ আসনটি (ভাঙ্গা-সদরপুর ও চরভদ্রাসন) নিয়ে গঠিত। এ আসনটি ১৯৭৯ সালের নির্বাচন ব্যতীত ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সদপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন হিসেবে বহাল ছিল। তৎকালীন নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে বিশেষ সুবিধা দিতে ২০০৮ সালে ১৫৪টি সংসদীয় আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করেছে।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। তাই গত ১৬ বছরের বৈষম্য দূর করে দুটি উপজেলার উন্নয়ন ও বরাদ্দের আনুপাতিক হার ঠিক রাখার পাশাপাশি বৈষম্য নিরসনে দেশের অন্যান্য সংসদীয় আসনের সঙ্গে ফরিদপুর-৪ (সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসন-২০০১ সালের ন্যায় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে, অচিরেই নির্বাচন দিন : সোহাগ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে তারেক জিয়া পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নগরীর চাষাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তারেক জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম সোহাগ।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহবায়ক আমিনুল ইসলাম সোহাগ ড. মোহাম্মদ ইউনূস'কে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ দেশের মানুষ আপনাকে পছন্দ করে ভালবাসে। আমরা নিশ্চিত এ দেশের মানুষের মনের আশা গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় একটি সুষ্ঠ নির্বাচন আপনি এ দেশের জনগণকে উপহার দেবেন।
অচিরেই সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ আপনি ঠিক করুন। আপনি সংস্কারের কথা বলছেন। সংস্কার হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া। ধারাবাহিক প্রক্রিয়া মাধ্যমেই সংস্কার চলতে থাকবে। তাই আপনি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমাদের তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন করেছেন।
তিনি যে ৩১ দফার একটি রূপরেখা দিয়েছেন তার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে। আমিনুল ইসলাম সোহাগ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। মানুষের যেমন বাক স্বাধীনতা ছিল না ঠিক একইভাবে সংবাদপত্রেরও স্বাধীনতা ছিল না।
ঐ সময় আমরা কিন্তু আমাদের নিজেদের ভোটও দিতে পারি নাই। পুলিশ, বিডিআর, র্যাব, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজনকে তাদের দলীয়করণ করে দলীয় নেতাকর্মীদের মতো তারা ব্যবহার করেছিলেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে খুন, গুম, ধর্ষণসহ মৌলিক অধিকার ও মানুষের মানবিক অধিকার হরণ করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে এদেশ থেকে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। ব্যাংক সেক্টরকে নিয়ে এসেছিলো শূন্যের কোঠায়।
তারেক জিয়া পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি শিশির খান, সিনিয়র সভাপতি তাইজুল ইসলাম খান, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাজী রাশেদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, আড়াই হাজার থানার সভাপতি মনির হোসেন, সেক্রেটারি পনির আহমেদ, বন্দর থানার সভাপতি নুর ইসলাম ও সেক্রেটারি রুবেল মিয়া সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।