রাজধানীর চকবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চলাকালে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডিবি ও চকবাজার থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন– মো. হুমায়ুন কবির (২৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৪০), আনোয়ার হোসেন খোকন (৪৮), মো. শাহাবুদ্দিন (৪৫), মো. নাজমুল আলম উজ্জ্বল (৩৬) ও  মো.

সুমন (২৬)।

মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল ও আজ চকবাজার থানাধীন বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি ও চকবাজার থানা পুলিশের যৌথ টিম।

গত ২৬ জানুয়ারি পুলিশ, র‌্যাবের সহযোগিতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে একটি দল চকবাজার এলাকায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। অভিযানে পশ্চিম ইসলামবাগের মো. কবির হোসেন ও মো. ইলিয়াছ সরদারের ভাড়া করা বাসা থেকে মোট ৪০ বস্তা (৪০ মণ, যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ টাকা) নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করা হয়।

পরে সেসব পলিথিন একটি পিকআপে উঠিয়ে ফেরার পথে ১৫০-২০০ জন ব্যক্তি লাঠি, ইট, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে তাদের পথরোধ করে এবং সঙ্গে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের পরিচালক (উপসচিব) মো. শওকত আলীকে এলোপাথাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে তারা পিকআপে থাকা জব্দ করা নিষিদ্ধ ৪০ বস্তা পলিথিন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং পিকআপটি ভাঙচুর করে। হামলায় আহত পরিচালক মো. শওকত আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ছয়জনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে ডিএমপির চকবাজার মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।

মামলা হওয়ার পর গত রাতে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে চকবাজার থানা এলাকা থেকে মো. হুমায়ুন কবির ও মো. আরিফুল ইসলাম নামে দুইজনকে এবং আজ চকবাজার থানাধীন বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে খোকন, শাহাবুদ্দিন, মো.নাজমুল হাসান উজ্জ্বল ও মো. সুমন নামে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর চকব জ র থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক শওকত হত্যার ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক শওকত মোল্লা (২০) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত মাকসুদুর রহমান এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার মেহেদী আবু কাওসার, জনি মোল্লা ও আবু রাসেল শেখ (পলাতক), রবিদাসপল্লির রাজেশ রবিদাস এবং গোয়ালচামট মহল্লার রবিন মোল্লা। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রাজবাড়ীর সদরের মসলিসপুর গ্রামের বাদশা শেখকে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন বাদে বাকি সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, শওকত মোল্লা শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আয়নাল মোল্লার ছেলে। ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বেরিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ১৫ নভেম্বর সকালে শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কের পাশের একটি ধানখেতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। ১৬ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শওকতের বাবা আয়নাল মোল্লা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শওকতকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ইজিবাইক ও তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।

আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি চৌধুরী জাহিদ হাসান জানান, বর্তমানে ইজিবাইক হাতিয়ে নেওয়ার জন্য খুনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি সমাজের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফরিদপুরে ইজিবাইক চালক হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
  • ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক শওকত হত্যার ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড