তিশা বলেন, ‘প্রীতম ভাইয়াকে আমি কখনো শুটিং সেটে রাগতে দেখিনি’
Published: 16th, February 2025 GMT
প্রথমবারের মতো চরকির ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’তে একসঙ্গে আসছেন গায়ক–অভিনেতা প্রীতম হাসান ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা। কাজটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তানজিন তিশা বলেন, ‘প্রীতম ভাইয়াকে আমি কখনো শুটিং সেটে রাগতে দেখিনি। সব আর্টিস্টকে নিয়ে একটু একটু করে কাজটি শেষ করেছেন তিনি। সব কৃতিত্ব প্রীতম ভাইয়ার।’
তিশার কথা শেষ হতেই পাশ থেকে ‘ধন্যবাদ’ বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গায়ক ও অভিনেতা প্রীতম হাসান। কিন্তু তানজিন তিশা কথাগুলো বলছিলেন নির্মাতা জাহিদ প্রীতমের উদ্দেশে। তিশা পরে মজা করে বলেন, ‘আমি তো প্রীতম ভাইয়ার কথা বলছি।’ বিষয়টা প্রীতমও বুঝেছিলেন। কিন্তু মজা করেই তিনি ধন্যবাদ জানান। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে যায়। কথায় কথায় জমে ওঠে ‘ঘুমপরী’ নিয়ে তারকাদের খুনসুটি আর মজার আড্ডা।
ভালোবাসার মাসে চরকিতে আসছে ‘ঘুমপরী’। ওয়েব ফিল্মটি ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তি উপলক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানী কারওয়ান বাজারের একটি ইভেন্ট স্পেসে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন। দেখানো হয় ওয়েব ফিল্মটির ট্রেলার। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘ঘুমপরী’র অভিনয়শিল্পী প্রীতম হাসান, তানজিন তিশা, পারশা মাহজাবীন, নির্মাতা জাহিদ প্রীতম, চরকির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি, কলাকুশলীসহ অনেকেই।
সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ প্রীতম, পারশা মাহজাবিন, প্রীতম হাসান ও তানজিন তিশা। চরকির সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘ মপর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক