Prothomalo:
2025-08-01@03:19:36 GMT

অনেক ঘটনা নিয়ে মেলা

Published: 18th, February 2025 GMT

বইমেলায় গতকাল বইয়ের চেয়ে বেশি ছিল বইকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া নানা প্রসঙ্গের উত্তাপ। নতুন লেখকদের বই খুঁজছিলেন ঊর্ধ্বতন উন্নয়নকর্মী কল্পনা বসু। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বই খুঁজতে খুঁজতে তিনি বলেন, ‘নতুন লেখকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা তা করছেন না। তাই ছাপা বইয়ের সঙ্গে কি এখনকার প্রজন্মের একটা দূরত্ব তৈরি হচ্ছে?’ গতকালই তিনি প্রথম এসেছিলেন মেলায়।

গতকাল মেলার মাঠ ঘুরে দেখা গেল, সেখানেও প্রভাব পড়েছে গত কয়েক দিনের নানা ঘটনার। বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘লেখক বলছি’ মঞ্চের সামনে কবি সোহেল হাসান গালিবের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে লেখক ও কথাসাহিত্যিকদের একটি অংশ।

মেলা ফুরানোর সময় এগিয়ে আসছে। এখন বিক্রি বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে বন্ধের দিনের চেয়ে গতকাল বিক্রি কম। ক্রেতা বাড়ছে এটাই আশাজাগানিয়া। বিক্রয়কর্মীরা বলেন, প্রথম দিকের বইমেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি থাকে। ফলে ভিড় বেশি হয়; কিন্তু বই কম বিক্রি হয়। তবে শেষের দিকে মূল ক্রেতারা আসেন, এ জন্য শেষ দিকে বিক্রিও ভালো হয়।

সাংস্কৃতিক পুঁজি ও নতুন বাংলাদেশ মোহাম্মদ আজম আদর্শ প্রকাশনী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ