টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ২৭ বছর কাটিয়ে দিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এই সময়ে বহুবার প্রেম ও তিন-চারটা বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। তবে এসব বিষয় হাসিমুখে সামাল দিয়ে নিজের গতিতে এখনো ছুটে চলেছেন শ্রাবন্তী।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী বলেন, ‘নানা ঝামেলার মধ্যে নিজেকে শক্ত করে রাখতে হয়েছে। আমি মনে করি জীবন একটাই আর আমার জীবন, আমিই বাঁচব। আমার বিল কেউ ভরে দেবে না, বাড়ি-গাড়ির মাসিক কিস্তি কেউ ব্যাঙ্কে গিয়ে দিয়ে আসবে না। আমার ছেলেকেও কেউ মানুষ করবে না। আমিই করব এগুলো। তার পাশাপাশি আমাকেও ভাল থাকতে হবে। ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, মা-বাবাকেও ধন্যবাদ যে আমি এ রকম একটা জীবন পেয়েছি। মা-বাবা যত দিন রয়েছেন তাঁদের সান্নিধ্যে রয়েছি। দর্শকের জন্য আরও ভাল কাজ করতে চাই, এটুকুই। বাকি কে কী বলল, আমার কিছু এসে-যায় না।’

অল্প বয়সে মা হয়েছেন শ্রাবন্তী। মা হওয়ার পর অভিনয়ও চালিয়ে গেছেন। ছেলে এখন বড় হয়েছে। বলা চলে, বন্ধু হয়েই তাঁর সঙ্গে বেড়ে উঠছে ছেলে অভিমন্যু।

শ্রাবন্তীর কথায়, “আমি তো ভাগ্যবান যে অল্প বয়সে মা হয়েছি। আমার ছেলের সঙ্গেই আমি বড় হয়েছি। ১৬ বছর বয়সে মা হয়েছি। তখন দশম থেকে একাদশ শ্রেণি। আজ আমার ছেলে আর আমি বন্ধু, ভাইবোনের মত। এখন ও আমার অভিভাবক। আমি ওকে ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ নাম দিয়েছি। এত শাসন করে আমাকে! আমাকে বলে, ‘তোমার মধ্যে কোনও দিন পরিণতিবোধ আসবে না! শিশুই থেকে যাবে! আমি বলি, আমার এ রকমই ভাল লাগে।”

আপাতত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই বলেন জানান শ্রাবন্তী। তিনি জানান, বর্তমানে বিয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। ভবিষ্যতে করবেন কিনা সেটাও ঠিক নেই। আপাতত জীবন উপভোগ করছেন তিনি।

প্রেমের প্রসঙ্গে শ্রাবন্তী বলেন, ‘সব সময়য় প্রেমে তো থাকি। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ভবিষ্যৎ ভাবতে শুরু করে দেয় সকলে। সব কিছুতে আমার একটু সময় লাগে। প্রত্যেকের বাঁচার অধিকার রয়েছে। সে কিসে ভালো থাকবে, সেটা তো তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা না, তিন-চারটে বিয়ে, সমাজের কত চোখরাঙানি! আমার কিছু যায়-আসে না’। সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ র বন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আশিরের গবেষণাগারে বিএনপি নেতা রিজভী, বললেন, তারেক রহমান পাঠিয়েছেন

ড্রোন ও বিমানের ছয় শতাধিক মডেল তৈরি করে আলোচনায় আসা চট্টগ্রামের বাঁশখালীর তরুণ মো. আশির উদ্দীনের গবেষণাগার পরিদর্শন করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামে আশিরের গবেষণাগার পরিদর্শনে যান তিনি।

পরিদর্শনকালে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পতনের মূল কারিগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা এখানে এসেছি। তারেক রহমান লন্ডন থেকে আশির উদ্দীনের ড্রোন প্রযুক্তির ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের পাঠিয়েছেন এই প্রতিভাকে মূল্যায়ন করার জন্য।’

রিজভী আরও বলেন, ‘সারা দেশে কেউ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, কেউ সংগীতে, কেউ শিল্পী হিসেবে নানাভাবে প্রতিভার ছাপ রাখছে। আমরা খোঁজখবর নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা যেন উন্নতি করতে পারে, সেটাই মূল লক্ষ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা এসেছি। আশির উদ্দীনের মতো প্রতিভাবান তরুণেরা আগামী দিনের বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে।’

পরিদর্শনকালে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, সদস্যসচিব মোকছেদুল মোমিন; বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিচ মিয়া, সদস্যসচিব হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।

আশির উদ্দীন সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা পাস করেন। গ্রামে তাঁর ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ল্যাব’ নামের ১৫ বর্গফুট আয়তনের একটি ল্যাব আছে। এলাকাবাসীর কাছে তিনি ‘খুদে বিজ্ঞানী’ ও ‘বিমানবিজ্ঞানী’ নামে পরিচিত। ২০১৬ সালে শুরু করে ড্রোন ও বিমানের ছয় শতাধিক মডেল তৈরি করেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁকে সম্মানিত করেছে সামরিক বাহিনী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ