রূপালি পর্দায় তুলে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশ ভারতের রাজনৈতিক টানাপোড়েন। সেখানে রয়েছে শেখ হাসিনা, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের চরিত্র। না, বাংলাদেশের কোনো সিনেমা নয়, কলকাতায় দুর্গাপূজার উৎসবে মুক্তি পাচ্ছে তেমনই এক থ্রিলার ‘রক্তবীজ ২’। টিজার প্রকাশের পর থেকেই দর্শকের কৌতূহল তুঙ্গে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ বাংলা জানিয়েছে, এ সিনেমায় মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। সীমা বিশ্বাস অভিনয় করছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকায়। টিজারের শুরুতেই দুই প্রবীণ অভিনেতার উপস্থিতি দর্শকদের চমকে দিয়েছে।
এদিকে তদন্তকারী অফিসার পঙ্কজ সিংহের ভূমিকায় রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গে আছেন সংযুক্তা মিত্রর চরিত্রে মিমি চক্রবর্তী। এছাড়া কৌশানী মুখোপাধ্যায়, নুসরত জাহান ও রহস্যময় চরিত্রে অঙ্কুশ হাজরাও নজর কেড়েছেন। প্রথম সিনেমায় সংক্ষিপ্তভাবে দেখা গেলেও এবার অঙ্কুশ হাজরার চরিত্রে থাকছে বড়সড় টুইস্ট।
নন্দিতা শিবপ্রসাদের পরিচালনায় ‘রক্তবীজ’ চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণের প্রেক্ষাপট। সিক্যুয়েলে দেখা যাবে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফর, শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ, এমনকি নড়াইলের ভদ্রবিলার ঘোষবাড়ির শৈশব স্মৃতি। ভিলেন মুনিরের চরিত্রকে ঘিরে তৈরি হবে রহস্য, আর সেটিই এগিয়ে নেবে পঙ্কজ সিংহের তদন্ত।
বাস্তব রাজনৈতিক আবহ ও রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারের সংমিশ্রণে নির্মিত ‘রক্তবীজ ২’ মুক্তি পাচ্ছে আসছে দুর্গাপূজায়, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতে বড় পর্দায়।
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাগরে ভাসছিল ২২ কেজির কোরাল, ধরা পড়ল জালে
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে আল আমিন খাঁর জালে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় মাছটি কুয়াকাটা মাছ বাজারে নিয়ে আসেন। মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় জমায়।
জেলে আল-আমিন খাঁ বলেন, ‘‘সকাল ৯টার দিকে গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলার নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতের লেম্বুর চর এলাকায় ফিরছিলাম। তখন সাগরে বিশাল আকৃতির একটি কোরাল মাছ ভাসতে দেখি। আমি ও সঙ্গীয় জেলেরা জাল ফেলে মাছটি ধরার চেষ্টা করি। প্রথম দফায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় দফায় চেষ্টা করি। তখন মাছটি জালে ধরা পড়ে।’’
কুয়াকাটা মাছ বাজারে হাসিব ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. খলিল ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে ৩৩ হাজার ৭৯০ টাকা মাছটি কিনে নেন।
আরো পড়ুন:
যশোরে অতিবর্ষণে ভেসে গেছে ১৩৪ কোটি টাকার মাছ
স্থগিত হওয়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু ১৮ আগস্ট
হাসিব ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. খলিল বলেন, ‘‘তবে এত বড় কোরাল মাছ কখনো দেখিনি। মাছটি সামান্য লাভে এখানেই বিক্রির চেষ্টা করব। তবে দাম না পেলে ঢাকা বা অন্য কোথাও পাঠাতে পারি।’’
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘‘কোরাল দেশের বাজারে দামি ও জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছ। কুয়াকাটার জেলেদের জালে মাঝে-মাঝে বড় আকৃতির কোরাল ধরা পড়ে। এ ধরনের মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রেও ভালো মূল্য পাওয়া যায়।’’
অন্যান্য জেলেদের জালেও বড় আকৃতির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ঢাকা/ইমরান/বকুল