রাজবাড়ীতে আড়াই কেজির ইলিশ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি
Published: 16th, August 2025 GMT
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় প্রায় আড়াই কেজি ওজনের একটি ইলিশ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফেরিঘাট এলাকার এক মাছ ব্যবসায়ী মাছটি কিনে ময়মনসিংহের এক প্রবাসীর কাছে বিক্রি করেছেন। ওই ব্যবসায়ী জানান, পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় আজ শনিবার সকালে সিদ্দিক প্রামাণিক নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে ইলিশটি।
দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, সকালে বড় ইলিশ ধরার খবর পেয়ে জেলে সিদ্দিক হালদারের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। মাছটির ওজন ২ কেজি ৪৯০ গ্রাম। নিলামে তিনি ৫ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৩ হাজার ৭০০ টাকায় ইলিশটি কিনে নেন। পরে ময়মনসিংহের বাসিন্দা ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর কাছে প্রতি কেজি ৫ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৪ হাজার ৫০০ টাকায় মাছটি বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনরাজবাড়ীতে পদ্মার এক ইলিশের দাম ১২ হাজার ৬০০ টাকা০২ আগস্ট ২০২৫শাহজাহান শেখ বলেন, ‘ময়মনসিংহের ওই ব্যক্তি আমার কাছে একটি বড় ইলিশের জন্য বলে রেখেছিলেন। আজ সকালে ইলিশটি কেনা মাত্রই তাঁকে মুঠোফোনে জানানো হয়। তিনি মানিকগঞ্জে তাঁর এক আত্মীয়কে পাটুরিয়া ঘাটে পাঠালে আমরা তাঁর কাছে মাছটি পৌঁছে দিই। এ ধরনের ইলিশ এই মৌসুমে আগে এক-দুটির বেশি পাওয়া যায়নি।’
বড় ইলিশের ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে ভরা পদ্মা নদীতে পানি বেশি থাকায় ইলিশের দেখা মিলছে। মাঝেমধ্যে বড় ইলিশ পাওয়া জেলেদের পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের জন্য সুখবর। তবে দাম অনেক বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনপদ্মার একটি ইলিশ ৮ হাজার ও পাঙাশ ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি১৫ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশবান্ধব সনদ পেল নতুন ৫ কারখানা
নতুন করে আরও পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৮।
পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হলো ঢাকার আশুলিয়ার টিম গ্রুপের সাউথ অ্যান্ড সোয়েটার, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পূর্বাণী ফ্যাশন, চট্টগ্রামের কেডিএস ফ্যাশন, ময়মনসিংহের রাঈদা কালেকশনস ও গাজীপুরের জয়দেবপুরের টেক্সইউরোপ বিডি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে পাঁচটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৫৮টি কারখানা পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে।
নতুন সনদ পাওয়া চারটির কারখানার মধ্যে চারটিই লিড প্লাটিনাম পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে সাউথ অ্যান্ড সোয়েটার, পূর্বাণী ফ্যাশন, কেডিএস ফ্যাশন ও রাঈদা কালেকশনস। অন্যদিকে টেক্সইউরোপ বিডি লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।
বাংলাদেশের যে ২৫৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১০৯টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১৩৩টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৬টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১২টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার তালিকায় স্থান পেয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে বাংলাদেশের ১১টি। বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে গাজীপুরের তানিশা ফেব্রিকস (এডমিন বিল্ডিং)। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৭ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে গাজীপুরের এসএম সোর্সিং, গাজীপুরের তানিশা ফেব্রিকস (আরএমজি বিল্ডিং), ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের ইস্প্রিট অ্যাপারেলস, নিট এশিয়া ও ইন্ট্রিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ।