রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় প্রায় আড়াই কেজি ওজনের একটি ইলিশ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফেরিঘাট এলাকার এক মাছ ব্যবসায়ী মাছটি কিনে ময়মনসিংহের এক প্রবাসীর কাছে বিক্রি করেছেন। ওই ব্যবসায়ী জানান, পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় আজ শনিবার সকালে সিদ্দিক প্রামাণিক নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে ইলিশটি।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, সকালে বড় ইলিশ ধরার খবর পেয়ে জেলে সিদ্দিক হালদারের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। মাছটির ওজন ২ কেজি ৪৯০ গ্রাম। নিলামে তিনি ৫ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৩ হাজার ৭০০ টাকায় ইলিশটি কিনে নেন। পরে ময়মনসিংহের বাসিন্দা ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর কাছে প্রতি কেজি ৫ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৪ হাজার ৫০০ টাকায় মাছটি বিক্রি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনরাজবাড়ীতে পদ্মার এক ইলিশের দাম ১২ হাজার ৬০০ টাকা০২ আগস্ট ২০২৫

শাহজাহান শেখ বলেন, ‘ময়মনসিংহের ওই ব্যক্তি আমার কাছে একটি বড় ইলিশের জন্য বলে রেখেছিলেন। আজ সকালে ইলিশটি কেনা মাত্রই তাঁকে মুঠোফোনে জানানো হয়। তিনি মানিকগঞ্জে তাঁর এক আত্মীয়কে পাটুরিয়া ঘাটে পাঠালে আমরা তাঁর কাছে মাছটি পৌঁছে দিই। এ ধরনের ইলিশ এই মৌসুমে আগে এক-দুটির বেশি পাওয়া যায়নি।’

বড় ইলিশের ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে ভরা পদ্মা নদীতে পানি বেশি থাকায় ইলিশের দেখা মিলছে। মাঝেমধ্যে বড় ইলিশ পাওয়া জেলেদের পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের জন্য সুখবর। তবে দাম অনেক বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনপদ্মার একটি ইলিশ ৮ হাজার ও পাঙাশ ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি১৫ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া (২১)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশাচালক। এর আগে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত আবুল বাশার (২৫) ও তাঁর সহযোগী মিলন মিয়াকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। তবে মামলার প্রধান আসামিকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।

আরও পড়ুনহালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ১৫ ঘণ্টা আগে

পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে সে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেন মিলন। এ সময় বাশার হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।

খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতেই আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

হালুয়াঘাট থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। তাঁর সহযোগী মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলন জানিয়াছেন, মেয়েটি তাঁর বন্ধু।’

এদিকে হালুয়াঘাটে গারো ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। আজ বেলা তিনটায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।

আজ বুধবার সকালে নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ওই ঘটনার নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মেয়েটির মা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলেও অন্য গারো নারীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। অবশ্যই এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে তিন দশকের পঞ্চদুর্গাপূজা
  • ময়মনসিংহে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২
  • এ বছর ডেঙ্গুতে ২০০ জনের মৃত্যু
  • ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার
  • ‘আল্লাহ তুই দেহিস’: জোর করে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় এক আসামি গ্রেপ্তার