ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীমূলক ছবি ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে নানান জল্পনাকল্পনা চলছে। সৌরভের ভূমিকায় কোন বলিউড অভিনেতাকে দেখা যাবে, এ নিয়ে এত দিন নানান প্রশ্ন ছিল। তবে এবার সব জল্পনা দূর করেছেন স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি জানিয়েছেন কোন বলিউড নায়ক তাঁর ভূমিকায় অভিনয় করবেন পর্দায়।

‘দাদা’, ‘মহারাজ’ এসব নামেই ভারতে পরিচিত সৌরভ। কয়েক বছর ধরে তাঁর বায়োপিক ঘিরে নানান তথ্য সামনে এসেছে। শুরুতে শোনা যাচ্ছিল যে রুপালি পর্দায় সৌরভ হবেন বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। এরপর বলিউড তারকা রণবীর কাপুরের নামও উঠে এসেছিল। এমনও শোনা গেছে সৌরভের বায়োপিকের জন্য সবার আগে আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এমনকি এই সিনেমার জন্য নাকি সইসাবুদ পর্ব সেরে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো কারণে এই ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন আয়ুষ্মান। এরপর রণবীর কাপুরের নাম শোনা গিয়েছিল। তবে রণবীর নাকি ছবিটি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

সর্বশেষ খবর, নির্মাতারা সৌরভ গাঙ্গুলীর বায়োপিকের জন্য রাজকুমার রাও-কে চূড়ান্ত করেছেন। এই খবর নিশ্চিত করেছেন সৌরভ নিজেই। তাঁর আত্মজীবনীমূলক ছবির প্রসঙ্গে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘আমি যত দূর শুনেছি, সেই অনুযায়ী রাজকুমার রাও এই ভূমিকায় (মুখ্য চরিত্রে) অভিনয় করবেন। কিন্তু তারিখ নিয়ে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আর তাই এই ছবিটা পর্দায় আসতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।’

রাজকুমার রাওকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘স্ত্রী ২’ ছবিতে। এই ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সফলতা পেয়েছে। আগামী দিনে তাঁকে ‘ভুল চুক মাফ’ ছবিতে দেখা যাবে। সম্প্রতি এই ছবির টিজার মুক্তি পেয়েছে। বললে বাড়াবাড়ি হবে না, সৌরভের ভক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের প্রিয় ক্রিকেটারের বায়োপিক দেখার অপেক্ষায় আছেন। রাজকুমার রাওকে নিয়ে সৌরভ সিলমোহর ভক্তদের নিশ্চয় আনন্দ দেবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর দ য়

এছাড়াও পড়ুন:

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স‌চিবাল‌য়ে কর্মচারী‌দের বি‌ক্ষোভ, চল‌বে মঙ্গলবারও 
  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা