ফেব্রুয়ারি এলে তোমাদের ভেতর নিশ্চয় অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। তা হচ্ছে বইমেলায় ঘোরার আনন্দ। প্রিয় বই কেনার আনন্দ। ফাল্গুনের আনন্দ। এত্তো এত্তো আনন্দের মাঝে শোক মেশানো একটা গর্বের দিনও আছে আমাদের; যা পৃথিবীর আর কোনো দেশের নেই। সেই দিনটি হচ্ছে একুশে ফেব্রুয়ারি। আজ থেকে অনেক আগে। সেই ১৯৫২ সালে আমাদের বাবা-ভাইয়েরা যখন কথা বলছিলো বাংলায়। তখন কিছু পচা মানুষ তাদের বাংলায় কথা বলতে নিষেধ করলো। বললো তাদের ভাষায় কথা বলতো। আচ্ছা তোমরাই বলো, ঘুম থেকে উঠে রোজ জেগে আম্মু বলে ডাক দাও। এই ডাকটা শুনেই কাজ ফেলে ছুটে আসেন মা। তখন মায়ের গলা জড়িয়ে আদর দিয়ে বাংলায় যেই কথা বলো। যে বায়নাটা ঘুম থেকে উঠেই করো মায়ের কাছে তা তো বাংলাতেই করো নাকি? বাংলায় মায়ের সঙ্গে কথা বলে, বাবার সঙ্গে কথা বলে যেই মজাটা পাও তাকি অন্য ভাষায় পাওয়া যায়? নিশ্চয়ই যায় না। আমাদের বাবা-ভাইয়েরা কেন এই মজাটা পাবে অন্য ভাষায়? তাছাড়া তোমাদের কথাও তো তাদের ভাবনায় ছিলো। তারা সব ভুলে অন্যদের ভাষা মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করলেন। অনেকে ভাষার জন্য বুকটাও পেতে দিলেন। বুক পেতে দিয়ে তারা চলে গেলেন দূর আকাশে। কিন্তু তোমাদের জন্য মধুর ভাষাটা আপন করে দিয়ে গেলেন। তারপর থেকে তো বাংলাটা আমাদের ভাষাই হয়ে গেলো। তাদের সেই ত্যাগের দিনটি ছিলো ২১ ফেব্রুয়ারি। গতকাল ছিলো সেই মহান দিন। এই দিনে বড়দের সঙ্গে তুমিও নিশ্চয়ই শহীদ মিনারে গিয়ে সেই ভাষার জন্য বুক পেতে দেওয়া শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছো। শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে তাদের কথা দিয়ে এসেছো যে, আমরা বাংলার জন্যই লড়ে যাবো। এই ভাষার জন্য, এই দেশের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি আমরা। আসছি বাংলাটাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে! n
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য আম দ র আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল্লার শয্যাপাশে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম
বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য প্রবীন সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ খোঁজ খবর নিলেন বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ বাড়িতে এসে তারা এ খোঁজখবর নেন । ওই সময় সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহর পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন একই কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন,বন্দর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপন,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফসহ বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য,সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে প্রচন্ড ভাইরাস জ্বড়ে অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে বাড়িতে টানা ৬ দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী রয়েছেন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.ফারুক আহেমেদের নিবির পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি বলে জানা গেছে।