সম্পত্তি নিলামের বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড। সম্পত্তি নিলামের উদ্যোগ সম্পর্কিত এক সংবাদ প্রতিবেদনের জেরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রশ্নের জবাবে কোম্পানিটি এ কথা জানিয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম ছিল ‘বেসিক ব্যাংক আবার এমারেল্ড অয়েলের সম্পদ নিলামের উদ্যোগ নিয়েছে’। এ খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই কোম্পানিটির কাছে ব্যাখ্যা চায়।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ২০০৩ সালের অর্থ ঋণ আদালত আইনের ধারা ৩৩ (৫) অনুযায়ী গত ৩০ জুলাই বেসিক ব্যাংক এমারেল্ড অয়েলের সম্পত্তি জব্দ ও বিক্রি করার অনুমোদন পেয়েছে, যদি না ঋণ সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হয়। এ ছাড়া সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়, আদালত ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি নিলাম করার অনুমোদন দিয়েছে।

এদিকে, ডিএসইর ব্যাখ্যা চাওয়ার জবাবে এমারেল্ড অয়েল জানিয়েছে, বেসিক ব্যাংক থেকে কোনো চিঠি বা আদালতের কোনো আদেশ বা নোটিশ তারা পায়নি। বিষয়টি দুঃখজনক, কোম্পানিটি বেসিক ব্যাংক থেকে এমন কোনো চিঠি বা আদালতের আদেশ/নোটিশ এখনো পায়নি। বর্তমানে কোনো ধরনের তথ্য ছাড়া তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে এমারেল্ড অয়েল স্বচ্ছতা বজায় রাখার সঙ্গে নিয়মকানুন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

কোম্পানিটি আরো জানায়, ভবিষ্যতে যদি বেসিক ব্যাংক বা আদালত থেকে কোনো ধরনের চিঠি বা আদেশ পাওয়া যায়, তবে নিয়মিত তথ্য প্রকাশের অংশ হিসেবে যথাসময়ে সবাইকে জানানো হবে।

ঢাকা/এনটি/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’

আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।

জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।

বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’

গণজমায়েতে র‌্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ