সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে প্রবাসীর গাড়িতে ছিনতাই, লুট
Published: 26th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ধষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের কবলে পড়া কুয়েত প্রাবাসী সিরাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার তিনি ছুটিতে কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে তার স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান তাকে প্রাইভেটকার যোগে নোয়াখালী থেকে নিতে আসেন স্বজনরা।
বিমান বন্দর থেকে নোয়াখালীর চাটখিল যাওয়ার পথে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া এলাকায় মেনীখালী ব্রীজের কাছে গাড়িটি পৌছঁলে রাত ৩টার দিকে হালকা যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের সুযোগে ৭/৮ জনের একটি সশস্ত্র ছিরতাইকারী দল গাড়ীর সামনে এসে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে গাড়িতে থাকা সবাইকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় তার কাছে থাকা নগদ প্রায় ১ লক্ষ সমপরিমান টাকা, বিদেশ থেকে আনা অন্যান্য জিনিসপত্র, মেবাইল ফোন ও পাসর্পোটসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনতাই করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ছিনতাইকারীরা।
ছিনতাইকারীদের মারধরে এসময় প্রবাসীসহ তার স্ত্রী,সন্তান ও সাথে থাকা স্বজনরা আহত হয়। পরে তারা তাৎক্ষনিকভাবে নিরাপত্তার জন্য তাদের বহনকারী গাড়িটি নিয়ে সোনারগাঁ থানায় অবস্থান নেন।
সিরাজুল ইসলাম অশ্রুসিক্ত হয়ে বলেন, ছিনতাইকারীরা আমার সবকিছু নিয়ে গেছে ভাই। আমার পাসর্পোট ভিসা দরকারী কাগজপত্র সব নিয়ে গেছে। আমি কিভাবে আবার বিদেশ যাব তার কোন উপায় নাই।
আমার ছোট দুটি সন্তান রাত থেকে এখনো না খেয়ে আছে তাদেরকে খাওয়ানোর মতো টাকাও এখন আমার কাছে নাই। তারা গাড়িতেই রাত কাটিয়েছে। অন্তত আমার কাগজপত্রগুলো যাতে উদ্ধার হয় সে জন্য সোনারগাঁ থানার সহায়তা চাই।
সোনারগাঁ থানার ওসি আব্দুল বারী জানান, প্রবাসীর গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় বুধবার একটি মামলা হয়েছে। এ মামলার সূত্রধরে এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। লুট হওয়া টাকা, মালামাল ও কাগজপত্র উদ্ধার এবং বাকি ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই ক গজপত র
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল