চঞ্চল মারিয়া প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ায় আর মনের আনন্দে গান গায়। নান বা খ্রিষ্টধর্মাচরণের জীবন বেছে নিয়ে এভাবে ভালোই কাটছিল মারিয়ার জীবন। কিন্তু হঠাৎ এই জীবনে ছেদ পড়ে। ক্যাপ্টেন জর্জ ফন ট্রাপের সাত সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে মারিয়াকে দূরে পাঠিয়ে দেন নান লিডার মাদার অ্যাবেসে।

ধীরে  ধীরে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেয় মারিয়া। নিজ গুণে অবাধ্য সাত শিশুকে সহজেই নিজের ভক্ত বানিয়ে ফেলে। একটা পর্যায়ে শিশুদের বাবা কঠোর স্বভাবের ক্যাপ্টেন ফন ট্রাপ আকৃষ্ট হয় মারিয়ার প্রতি। গানে গানে এভাবে এগিয়ে চলে গল্প।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’ মঞ্চস্থ হয়। ১৯৬৫ সালে তৈরি সংগীতনির্ভর চলচ্চিত্র ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’–এর ৬০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে এই আয়োজন করে এক্সেল একাডেমি।

এক্সেল একাডেমির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গত বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি) দুই দিন নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি সফলভাবে মঞ্চস্থ করার জন্য অংশগ্রহণকারী শিশুরা প্রায় দেড় মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। অভিনয়ে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণির ২০ জন শিক্ষার্থী এবং সংগীতে ১৮ জন।  

মূল চরিত্র মারিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করে আরিশা ওহাব। ক্যাপ্টেন ফন ট্রাপের চরিত্রে দেখা যায় সাইফান রাসূলকে।  নাটকটির চিত্রনাট্য রচনা ও নির্দেশনা দেন রকি খান।

বৃহস্পতিবার সমাপনী পরিবেশনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শৈশবে আমাদের ইচ্ছেগুলো নিজেদের উদ্যোগেই পূরণ করতে হয়েছে। অভিভাবক বা শিক্ষকেরা সেভাবে সহযোগিতা করেননি। শিল্পবোধ তো সব প্রাণেই জাগিয়ে তোলা দরকার। এরা সৌভাগ্যবান যে এদের স্কুল, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা তাদের ভেতরের স্পৃহাগুলো জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।’

সংগীতনির্ভর চলচ্চিত্র ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’–এর ৬০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে মঞ্চ নাটক.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।

আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।

আরো পড়ুন:

মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি

তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন

সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।

দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।

৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।

কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”

তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় যুবদল নেতা শাহিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া  
  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি