বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কমার্শিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে প্রাথমিক বাছাই ও লিখিত পরীক্ষা ছিল আজ বেলা তিনটায়। ঢাকার মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষা দিতে যথাসময়ে উপস্থিত হলেও প্রশ্নপত্র আসেনি। ফলে তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে বিকেল সাড়ে চারটার পর তাঁরা মোহাম্মদপুরের আসাদ গেট এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

রেজাউল ইসলাম নামের এক চাকরিপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কেন্দ্র ছিল লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ। পরীক্ষা শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পরও প্রশ্নপত্র আসেনি। ফলে পরীক্ষা হয়নি। কেন্দ্রে পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্তরা লিখিতভাবে জানান, প্রশ্নপত্র না আসায় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, বিমানের এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এরপর তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশের আশ্বাসে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সড়ক ছেড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে যান তাঁরা। তিনি বলেন, প্রায় দুই হাজার চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কাদের আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, চাকরিপ্রত্যাশীরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে তাঁদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ কর প র র থ পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ