রোহিত-বিরাটদের জন্য ঝুলে আছে বিসিসিআই-এর কেন্দ্রীয় চুক্তি
Published: 7th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মতো অবস্থা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিসিআই)। বিসিবি কেন্দ্রীয় চুক্তির নাম প্রস্তাব করেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানার অপেক্ষায় আটকে ছিল কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা পাশ। এর মধ্যে মুশফিক ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। এখনো ঝুলে আছে মাহমুদউল্লাহর বিষয়টি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে রোহিত শর্মা অবসর নেবেন কিনা, বিরাট কোহলি ওয়ানডে ফরম্যাট ছেড়ে দেবেন কিনা, রবীন্দ্র জাদেজার পরিকল্পনা কী, এসব জানতে ঝুলে আছে ভারতের ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা চূড়ান্ত হওয়া। বিসিসিআই সাধারণত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করে থাকে।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজা বিসিসিআই-এর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন। কিন্তু তারা তিনজনই টি-২০ থেকে অবসর নিয়েছেন। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে পারেনি ভারত। যার অর্থ জুনের আগে কোন টেস্ট সিরিজ নেই তাদের। যে কারণে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখলেও রোহিতদের ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে রাখতে চায় না বোর্ড।
সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া দাবি করেছে, বিসিসিআই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল এবং রোহিত শর্মা অবসর ঘোষণার অপেক্ষায় আছে। ভারতীয় অধিনায়ক অবসর নিলে তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখার যৌক্তিকতা নেই। একইভাবে বিরাট কোহলি ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন কিনা সেটা নিয়েও চিন্তায় আছে বোর্ড।
শুভমন গিল, অক্ষর প্যাটেলদের মতো ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্যাটাগরি কী হবে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যও চ্যাম্পিয়ন্টস ট্রফির দিকে তাকিয়ে আছে বিসিসিআই। শুভমন গিলকে পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে। এছাড়া যারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো খেলছে, চাপে ভালো করছে তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে প্রমোশন দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নাম অর্ন্তভূক্তি কিংবা বিয়োজনের একটা কারণ হতে পারে ঘরোয়া ক্রিকেট। গত বছর শ্রেয়াস আইয়ার ও ইশান কিষাণ ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় তাদের চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরে আইয়ার চুক্তিতে ঢোকেন। এবার আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বিরাট কোহলি ও রোহিতদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বাধ্য করে বোর্ড। ঘরোয়া ক্রিকেটে আগ্রহ ও নিয়মিত বিবেচনায় কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা নির্ধারণ হতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব স স আই ব র ট ক হল ব র ট ক হল অবসর ন
এছাড়াও পড়ুন:
২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।