বাউফলে চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, উত্ত্যক্তের অভিযোগ পরিবারের
Published: 15th, March 2025 GMT
‘আমি আমার নিজের ইচ্ছায় কিছুই করিনি। আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। ওই ছেলের জন্য আর ওর পরিবারের জন্য আমার জীবন থেকে মনে হয় সব সুখ শান্তি চলে গেছে।’ আত্মহত্যার আগে এমন চিরকুট লিখে গেছে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৬)। লেখা শেষ না করেই ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী।
গতকাল শুক্রবার রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রীর স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্কুলে যাওয়া ও আসার পথে বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতেন এক তরুণ। বিষয়টি তরুণের পরিবার ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানায় ছাত্রীর পরিবার। তবে কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তরুণ। গতকাল ওই ছাত্রীর সঙ্গে আরেক সহপাঠীর তোলা ছবির সঙ্গে আজেবাজে ক্যাপশন লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন তরুণ। বিষয়টি জানার পর চিরকুট লিখে নিজ কক্ষের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী।
ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে অত্যন্ত ভদ্র ও লাজুক। তাকে বিভিন্ন সময় ছেলেটি কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওই বখাটের পরিবারকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গতকাল তাঁর মেয়ের সঙ্গে তার এক সহপাঠির তোলা স্বাভাবিক ছবিতে বাজে মন্তব্য লিখে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় ওই বখাটে। এতে লোকলজ্জার ভয়ে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি এই হত্যার বিচার চান।
ছাত্রীর বাবা বলেন, আত্মহত্যার আগে তাঁর মেয়ে চিরকুট লিখে গেছেন। চিরকুটে আত্মহত্যার জন্য ওই ছেলেকে দায়ী করে গেছেন। তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি ওই বখাটের ফাঁসি চান।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে এলেও তাঁকে জানানো হয় ঘটনার এক দিন আগে। জানার পরে তিনি ওই ছেলে ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে ডেকে এনে সাবধান করে দিয়েছিলেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তরুণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে আছেন। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওই ছ ত র র পর ব র পর ব র র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক