বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় (বিওএফ) একাধিক পদে জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। প্রতিষ্ঠানটিতে ২০ ক্যাটাগরির পদে মোট ২২০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: অফিস সুপারিনটেনডেন্ট

পদসংখ্যা: ৩

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ড থেকে দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার পরিচালনায় বাস্তব অভিজ্ঞতাসহ তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)

২.

পদের নাম: উপসহকারী কেমিস্ট

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নসহ দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)

৩. পদের নাম: সিনিয়র সহকারী

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: স্নাতক পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতাসহ প্রতি মিনিটে কম্পিউটারে টাইপিংয়ে সর্বনিম্ন গতি বাংলায় ২৫ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (১৪তম গ্রেড)।

৪. পদের নাম: সুপারভাইজার

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (১৪তম গ্রেড)।

৫. পদের নাম: সিনিয়র টেকনিশিয়ান

পদসংখ্যা: ৬

যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। কারিগরি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ট্রেডে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (১৪তম গ্রেড)।

৬. পদের নাম: গেট ইন্সপেক্টর

পদসংখ্যা: ৩

যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান পাস। অবসরপ্রাপ্ত জেসিওদের ক্ষেত্রে এসএসসি পাস।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (১৪তম গ্রেড)।

৭. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ২৩

যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)।

৮. পদের নাম: মেটল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: রসায়ন, পদার্থবিদ্যাসহ উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)।

৯. পদের নাম: গোডাউন কিপার

পদসংখ্যা: ৬

যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)।

১০. পদের নাম: ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ৩

যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। ভারী যানবাহন চালনায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত হতে হবে। সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)।

১১. পদের নাম: স্কিল্ড টেকনিশিয়ান

পদসংখ্যা: ৭

যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। কারিগরি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ট্রেডে ৮ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (১৭তম গ্রেড)।

১২. পদের নাম: টেকনিশিয়ান

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। কারিগরি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ট্রেডে ছয় বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (১৮তম গ্রেড)।

১৩. পদের নাম: মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ৩

যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (১৯তম গ্রেড)।

১৪. পদের নাম: জুনিয়র টেকনিশিয়ান

পদসংখ্যা: ৬৪

যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। কারিগরি বিষয়ে সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত।

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (১৯তম গ্রেড)।

১৫. পদের নাম: ফায়ারম্যান

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। অগ্নিনির্বাপণ অথবা বেসামরিক প্রতিরক্ষা কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (১৯তম গ্রেড)।

আরও পড়ুনসেনাবাহিনী নেবে কমিশন্ড অফিসার, আবেদন চলছে১৪ মার্চ ২০২৫

১৬. পদের নাম: টেকনিক্যাল হেলপার

পদসংখ্যা: ৬৬

যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (২০তম গ্রেড)।

১৭. পদের নাম: আরদালি

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (২০তম গ্রেড)।

১৮. পদের নাম: নিরাপত্তাপ্রহরী

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। অগ্নিনির্বাপণ অথবা বেসামরিক প্রতিরক্ষা কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (২০তম গ্রেড)।

১৯. পদের নাম: লেবার

পদসংখ্যা: ১০

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (২০তম গ্রেড)।

২০. পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (২০তম গ্রেড)।

বিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে নতুন বিজ্ঞপ্তি, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থান, যাদের সুযোগযেভাবে আবেদন

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পদ্ধতি, ফি জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংক থেকে জানা যাবে।

আবেদন ফি

১ ও ২ নম্বর পদের জন্য ১৬৮ টাকা, ৩ থেকে ১০ নম্বর পদের জন্য ১১২ টাকা, ১১ থেকে ২০ নম্বর পদের জন্য ৫৬ টাকা এবং অনগ্রসর (ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীদের প্রতিটি পদের জন্য ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৭ মার্চ, ২০২৫।

আরও পড়ুনসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে নবম গ্রেডে চাকরির সুযোগ১৪ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০তম গ র ড ১৪তম গ র ড ১৬তম গ র ড রপদস খ য পদ র ন ম পদস খ য য গ যত

এছাড়াও পড়ুন:

সংসদ নির্বাচনে ৭ শতাংশ আসনে থাকবে নারী প্রার্থী, প্রস্তাব ঐকমত্য

বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০ নারী আসন বহাল রেখে সাত শতাংশ আসনে সরাসরি প্রার্থী করার সংশোধিত প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২২তম দিনে সংশোধিত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ১০০ আসনে সরাসরি নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলা হয়। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলা হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলে। সিপিবি, বাসদ ও জেএসডি সরাসরি ভোটের কথা বলে।

আরো পড়ুন:

খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন: মিন্টু

প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে

তবে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো সংখ্যানুপাতিক হারে ১০০ আসনে নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বিদ্যমান পদ্ধতিতে ১০০ সংরক্ষিত আসনের কথা বলে।

এমন অবস্থায় কমিশন ১৪ জুলাই সংশোধিত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সেখানে বলা হয়, যে দল ২৫টির বেশি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, তাদের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে।

তবে ওই দিন এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে অধিকাংশ দল।পরে আরেক দিনের আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার পাশাপাশি ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী করার প্রস্তাব করেন, যা আগামী নির্বাচনে বাস্তবায়ন হবে। ১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়।

আজ নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করে কমিশন। সেখানে বলা হয়, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর দফা (৩)-এ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন থেকে ৭ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।

১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ শতাংশ আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো এই হার পর্যায়ক্রমে প্রতি সাধারণ নির্বাচনে ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব ১০০-এ উন্নীত করবে। পঞ্চদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো পর্যাপ্তসংখ্যক নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, যাতে ১০০ জন নারী জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন।

২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনীর (যা ৮ জুলাই ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয়) মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়ানো হয়। সে হিসাবে বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার বিধান রয়েছে।তবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫(৩) ও (৩ ক)-এর আওতায় সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান চতুর্দশ সংসদের পর আর কার্যকর থাকবে না।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংসদ নির্বাচনে ৭ শতাংশ আসনে থাকবে নারী প্রার্থী, প্রস্তাব ঐকমত্য