সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রাজস্ব শাখায় নিয়োগ, পদ ৫০
Published: 17th, September 2025 GMT
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখায় বিভিন্ন গ্রেডের ৫০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন করা যাবে আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
পদের নাম ও বিবরণ১। অফিস সহকারী মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ১৮
শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ হতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
২। নাজির-কাম-ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ০৩
শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ হতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস প্রিলি: পরীক্ষার হলে কোন ভুলে পিছিয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা ৮ ঘণ্টা আগে৩। সার্টিফিকেট সহকারী
পদসংখ্যা: ০৫
শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ হতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
৪। সার্টিফিকেট পেশকার
পদসংখ্যা: ০৫
শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ হতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৪৭০১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫৫। ক্রেডিট চেকিং কাম-সায়রাত সহকারী
পদসংখ্যা: ০৯
শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ হতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
৬। মিউটেশন কাম-সার্টিফিকেট সহকারী
পদসংখ্যা: ০৮
শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ হতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
৭। ট্রেসার
পদসংখ্যা: ০২
শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ হতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
বয়সসীমা১৮ থেকে ৩২ বছর
শর্তাবলি১। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক ও সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা হতে হবে।
২। একজন প্রার্থী উপরোক্ত পদের যেকোনো ১টিতে আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনজাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা৭ ঘণ্টা আগেঅনলাইনে আবেদনের নিয়ম১। আগ্রাহী প্রার্থীরা এই ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।
২। আবেদনপত্রে প্রার্থী তাঁর স্বাক্ষর (দৈর্ঘ্য ৩০০ x প্রস্থ ৮০ পিক্সেল) ও রঙিন ছবি (দৈর্ঘ্য ৩০০ x প্রস্থ ৩০০ পিক্সেল) স্ক্যান করে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করবেন। ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১০০ KB ও স্বাক্ষর ৬০ KB হতে হবে।
আবেদন ফি১১২/- টাকা (টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাটসহ)। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরা সব গ্রেডের জন্য আবেদন ফি বাবদ ৫৬ টাকা (টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাটসহ)। অনলাইনে আবেদনের পরবর্তী ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা।
আবেদনের সময়সীমা১। আবেদনপত্র পূরণ ও আবেদন ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময়: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা।
২। আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, বিকাল ৫টা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন য ন দ ব ত য় ব ভ গ ব স ব ক ত ব র ড হত গ র ড ১৬ সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
তদন্ত করে ভুয়া নাম বাদ দিন
সরকারি নথিপত্রে যেকোনো ঐতিহাসিক ঘটনার ভুল কিংবা মিথ্যা তথ্যের ইচ্ছাকৃত অন্তর্ভুক্তি সন্দেহাতীতভাবে ইতিহাস বিকৃতির সবচেয়ে খারাপ ধাপ। স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকারগুলোর প্রায় প্রত্যেকে এই গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি করা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাজাকারদের, আর রাজাকারের তালিকায় সুবিদিত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের অন্তর্ভুক্তি দেখা গেছে। কিন্তু হাজারো তরুণের রক্তস্নাত জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব নেওয়া অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে, তা অকল্পনীয় ছিল।
কিন্তু বাস্তবতা দেখিয়েছে, আগের সেই রেশ থামেনি। দেখা যাচ্ছে, সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শহীদদের যে তালিকা করেছে, তাতে এমন অর্ধশতাধিক লোকের নাম এসেছে, যাঁরা জুলাই শহীদ নন।
জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন বিধিমালা, ২০২৫ স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে: শুধু রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী অথবা আওয়ামী শাসক দলের লোকদের হাতে নিহত ব্যক্তিরাই জুলাই শহীদ বলে গণ্য হবেন। কিন্তু প্রথম আলোর প্রতিবেদন বলছে, সরকারের তৈরি করা জুলাই শহীদদের তালিকায় কমপক্ষে ৫২ জনের নাম আছে, যাঁরা জমিসংক্রান্ত বিরোধ বা অন্য কারণে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন কিংবা নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এ ছাড়া তালিকায় তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন ছাত্রলীগ নেতা আছেন। এমনকি তালিকায় এমন একজনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যিনি প্রতিবাদীদের ওপর হামলায় যুক্ত ছিলেন।
প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে এককালীন মোট ৩০ লাখ টাকা দেবে সরকার। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক শহীদ পরিবার মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছে। ঢাকায় তাদের ফ্ল্যাট দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
জনমানসের যৌক্তিক ধারণা, এই অর্থনৈতিক সুবিধার প্রলোভন তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় প্রতারণা, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং অপকৌশলের সুযোগ তৈরি করেছে। শুধু জালিয়াতি করে শহীদ দেখিয়ে শুধু সহায়তা নেওয়া নয়; সংশ্লিষ্ট নিহতের ঘটনায় মামলা করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার নজিরও মিলেছে।
এই পরিস্থিতি প্রমাণ করছে, তালিকাভুক্তকরণের প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক ও আর্থিক স্বার্থ কাজ করে থাকতে পারে। ঘটনাটিকে দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু কর্মকর্তার মিলিত কৌশল এবং সুযোগসন্ধানীদের চক্রান্ত হিসেবে বিবেচনা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় ধরনের ব্যর্থতা। তবে প্রথম আলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি সরকার আমলে নিয়েছে, এ জন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাতে চাই।
বহু শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সরকার এক মহান দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে। তাদের মনে রাখতে হবে, শহীদের মর্যাদাকে সরকারি পরিসরে আর্থিক প্রলোভন, সংকীর্ণ রাজনৈতিক সুবিধা বা স্বার্থপর উদ্দেশ্যে বিকৃত করা হলে সেটি ইতিহাস, নৈতিকতা ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব লঙ্ঘনের অমার্জনীয় অন্যায় হয়ে ওঠে।
এ অন্যায় থেকে বাঁচতে ও মানুষের আস্থা পুনঃস্থাপনে অবিলম্বে বিতর্কিত সব নামের সব সরকারি সুবিধা অবিলম্বে স্থগিত করতে হবে। স্বাধীন ও অরাজনৈতিক কমিটি গঠন করে প্রতিটি নামের পুনঃ যাচাই নিশ্চিত করা জরুরি। বাদ পড়া শহীদদের নামও তালিকায় যুক্ত করতে হবে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে যাদের গাফিলতি বা দুর্নীতির কারণে এই অনিয়ম হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসে এক অমর মাইলফলক। এর শহীদদের তালিকায় নকল বা অপ্রাসঙ্গিক নাম সংযোজন করা হলে ‘বীরের এ রক্তস্রোত, মাতার এ অশ্রুধারা’ সব ‘ধরার ধুলায় হবে হারা’। সরকারকে এ সত্য উপলব্ধি করতে হবে।
আশার কথা হলো, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোনো প্রকার ভুয়া প্রমাণিত হলে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কথা ও কাজের সম্মিলিত প্রয়াস আমরা দেখব, সেটিই কাম্য।