নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ না করার দাবি চবি শিক্ষার্থীদের
Published: 16th, March 2025 GMT
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধের পরিকল্পনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যয়নরত নওগাঁ জেলার শিক্ষার্থীরা। এমন কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে নওগাঁ জেলাকে বিচ্ছিন্নসহ সারাদেশে খাদ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে পদার্থবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৈকত হোসেন বলেন, “নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়নি। কিন্তু ক্যাম্পাস নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন না করে কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।”
আরো পড়ুন:
স্টেশনে ভিক্ষা করলেও স্বপ্ন ব্যাংকার হওয়ার
চবির বি ইউনিটে পাসের হার ২০ শতাংশ
তিনি বলেন, “বিগত বছরগুলোতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে নেওয়া পেশাগত পরীক্ষায় ২৪টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ অন্যতম শীর্ষে অবস্থান করেছে। এখানকার অ্যাকাডেমিক মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগই নেই। মানহীন তকমা দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, “কোনোভাবে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হলে নওগাঁ জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে সারাদেশে খাদ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। নওগাঁ থেকে আমরা চাল সাপ্লাই বন্ধ করে দেব। সারাদেশে নওগাঁর শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।”
তিনি বলেন, “কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো, আমাদের এমন কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। নওগাঁ মেডিকেল কলেজ যদি কিন্তু ছাড়াই বহাল রাখুন। সেই সঙ্গে দ্রুত অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যবস্থা করুন।”
সম্প্রতি নওগাঁ মেডিকেল কলেজসহ ছয়টি সরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামুদ্রিক মাছে ভরপুর আড়ত, দাম কেমন
স্তূপ করে রাখা ইলিশে ভরে গেছে ঘাট। চারদিকে মাছের গন্ধ, বরফের ঠান্ডা ধোঁয়া, ক্রেতার হাঁকডাক। কেউ দর কষছেন, কেউ আবার টাটকা ইলিশ দেখে ব্যাগভর্তি করে নিচ্ছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী নদীর তীরে ফিশারিঘাটের নতুন মাছবাজারে গিয়ে দেখা গেল এই ব্যস্ত চিত্র।
নিষেধাজ্ঞার পর বাজার যেন নিজের ছন্দে ফিরেছে। গত ২৫ অক্টোবর সাগরে মাছ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এর পর থেকেই একের পর এক ট্রলার ভিড়ছে ঘাটে—কোনো ট্রলারভর্তি লইট্টা, কোনোটা ছুরি, চিংড়ি, ফাইস্যা বা ইলিশে ভরপুর। ভোর থেকেই আড়তগুলোয় শুরু হয় নিলাম, পরে সেই মাছ চলে যায় শহরের বাজারে। এমনকি জেলার গ্রামীণ হাটবাজারেও পৌঁছে যাচ্ছে ট্রাকভর্তি মাছ।
গতকাল দুপুরে গিয়ে দেখা গেল, নদীর ঘাট ঘেঁষে ট্রলার। ঘাটে নামছে বরফঠান্ডা মাছের বাক্স। আড়তের সামনে ইলিশের স্তূপ ঘিরে ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রেতারা তখন বরফ ছুড়ে দিচ্ছেন মাছের ওপর। ছোট আকারের ইলিশের দাম ক্রেতাদের কেউ হাঁকছেন ১০ হাজার, কেউ ১২ হাজার টাকা—শেষমেশ দর থামছে ১৬ হাজার টাকায়। ওই দরে বিক্রি হলো ১ মণ ছোট আকারের ইলিশ। এক কেজিতে পড়ছে পাঁচ থেকে ছয়টি করে মাছ।
নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহে ঘাটতি ছিল। এখন ধীরে ধীরে সব ঠিক হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিন সাগরের নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় অনেক জেলে গভীর সমুদ্রে যেতে পারেননি। ফলে বড় ইলিশ আসছে কম।নুর মোহাম্মদ, আড়তদারমেসার্স হাজি আবদুল গণি ফিশিংয়ের স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে জানান, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই জেলেরা সমুদ্রে পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু বড় আকারের ইলিশ এখনো তেমন ধরা পড়ছে না। ছোট ও মাঝারি ইলিশই বাজারে বেশি আসছে।
ব্যস্ত ঘাট, ব্যস্ত আড়ত
ফিশারিঘাটে এখন সকাল থেকেই যেন উৎসবের আমেজ। ট্রলার ঘাটে ভিড়লেই শুরু হয় কর্মচাঞ্চল্য। আড়তগুলোর সামনেই চলছে বাক্সে মাছ ভরানোর কাজ। আড়তদারেরা জানান, চট্টগ্রামের এই ঘাটে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়। নিষেধাজ্ঞার সময় বাজার একটু স্তিমিত থাকে। অন্য সময় লেগে থাকে ব্যস্ততা।
ছোট ইলিশ কেজিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কোনো ইলিশ সাড়ে ৩০০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। বড় আকারের যেগুলো, সেগুলোর দাম একটু চড়া; প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।আড়তদার নুর মোহাম্মদের মতে, নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহে ঘাটতি ছিল। এখন ধীরে ধীরে সব ঠিক হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিন সাগরের নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় অনেক জেলে গভীর সমুদ্রে যেতে পারেননি। ফলে বড় ইলিশ আসছে কম। একই আক্ষেপ করলেন মেসার্স মা মরিয়ম ফিশিংয়ের কর্ণধার ছৈয়দ নুর। তিনি বলেন, বড় আকারের ইলিশ কম আসছে। তবে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ প্রচুর ধরা পড়ছে। বিক্রিও ভালো।
দরদাম যেমন
ফিশারিঘাটের পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ছোট ইলিশ কেজিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কোনো ইলিশ সাড়ে ৩০০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। বড় আকারের যেগুলো, সেগুলোর দাম একটু চড়া—প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।
মাছের ওপর বরফ ছিটানো হচ্ছে। গতকাল দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম নগরের ফিশারিঘাট নতুন মাছ বাজারে