বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটি ৬ দিন যাবত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন
Published: 17th, March 2025 GMT
গত ৬ দিন যাবত ২৬ বছর বয়সী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মোছাঃ লিমা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। তার খোঁজ পেতে তার বাবা খন্দকার নিলু, মা মোসা: নেহেরাসহ স্বজনরা সম্ভাব্য সকলস্থানে খুঁজেছেন। কিন্তু তার কোন খোঁজ পাননি।
৫ ফুট উচ্চতা ও মুখমন্ডল গোলাকার মোছা: লিমা ১২ মার্চ সকাল ৭টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ২নং ওয়ার্ডের পাইনাদি পশ্চিম ধনুহাজীরোড এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটি সে থেকেই নিখোঁজ। তার খোঁজ না পেয়ে তার বাবা-মাসহ স্বজনরা ভেঙ্গে পড়েছেন।
নিখোঁজ মোছাঃ লিমা কারো সাথে কথা বলে না। নিজের নাম ও ঠিকানা বলতে পারে না। হারিয়ে যাওয়ার সময় তার পরিধানে ছিলো হালকা গোলাপি রঙের জামা এবং ওড়না। মোছাঃ লিমা নিখোঁজ হওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং- ৭৮৪) করা হয়েছে।
কোনো স্বহৃয়বান ব্যক্তি নিখোঁজ মোছাঃ লিমা এর সন্ধান পেয়ে থাকলে মোবাইল নম্বরে (মোবাইল নাম্বার- ০১৯১৮৬৩২৪২৫, ০১৩০৫৫৮০৮৫৭) কল করে জানানোর জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
লামিয়ার মৃত্যুতে আরও সংকটে পরিবার, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মা ও বোন
গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে মারা যান স্বামী জসিম উদ্দিন। এরপর গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মারা যান বড় মেয়ে লামিয়া আক্তার (১৭)।
স্বামী এবং মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ রুমা বেগম (৩৫)। একই অবস্থা লামিয়ার ছোট বোন বুশরা আক্তারের (১৪)। লামিয়া মারা যাওয়ার পর থেকে কাঁদতে কাঁদতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে লামিয়াকে দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে দাফনের পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে স্বজনরা পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্বজনরা এ দুজনকে নিয়েও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে লামিয়ার গলায় ফাঁস দেওয়া নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রবিবার মাগরিব নামাজ বাদ পাঙ্গাশিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে লামিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ নামাজে অংশ নেন বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ স্থানীয় শতশত মানুষ।
পরিবার জানায়, গত ১৮ মার্চ দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন লামিয়া। সাহসিকতার সাথে তিনি নিজে থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। দুমকি থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই লামিয়া গভীর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। সামাজিক অবহেলা এবং ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় তার মধ্যে চরম হতাশা তৈরি হয়। সেই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে পরিবারের ধারণা।
লামিয়ার দাদা শহীদ জসিম উদ্দিনের বাবা আবদুস সোবাহান বলেন, “আমরা এ শোক সইতে পারছিনা। কাঁদতে কাঁদতে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমরা কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ছেলের বউ ও ছোট নাতিকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।”
বলেন, “যাদের কারণে লামিয়া আত্মহত্যা করেছে আমরা তাদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।”
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা আবুজর মোহাম্মদ ইজাজুল হক বলেন, “লামিয়ার মা এবং বোন হাসপাতালের ভর্তির বিষয়টি আমাকে অবগত করেনি। তবে তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।”
ঢাকা/ইমরান/টিপু