অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন। আসছে ২৮ মার্চেই মুক্তি পাবে ডেভিড ওয়ার্নার অভিনীত ভারতীয় সিনেমা। এরই মধ্যে আবার রাজনীতিতে নামার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ওপেনার।

গত বছরের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন ওয়ার্নার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট এখনো খেলছেন ওয়ার্নার। ক্যারিয়ারের এমন পরিস্থিতিতে ভিন্ন এক ক্যারিয়ারের প্রসঙ্গ তুলেছেন এই কিংবদন্তি। কাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ওয়ার্নার লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় আমার সংসদ সদস্য হওয়া উচিত। এ নিয়ে আপনাদের কী ভাবনা?’

ওয়ার্নারের এমন পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক ভক্ত আবার জানতে চেয়েছেন—ভারত না অস্ট্রেলিয়ার, কোন দেশের সংসদের কথা বলেছেন ওয়ার্নার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দীর্ঘদিন আইপিএল খেলার কারণে ভারতে ওয়ার্নারের সমর্থক অনেক বেশি। তাঁদের অনেকেই ওয়ার্নারকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসরণ করেন। তাঁদের কেউ কেউ মজা করে ওয়ার্নারের কাছে এমন প্রশ্ন করেছেন।

আবার অনেক সমর্থক গুরুত্বের সঙ্গেই দেখেছেন ওয়ার্নারের ভাবনাকে। এই যেমন স্টিভ অ্যান্ডারসন নামের একজন বলেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে? যদিও এখন আরও বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তবে আপনি কি জানেন কী কী প্রয়োজন? আপনার একজন ম্যানেজার, স্বেচ্ছাসেবক এবং অর্থের প্রয়োজন হবে। সৌভাগ্যবশত, আপনার একটা পরিচিতি আছে। আপনি যদি প্রধান দলগুলোর একটিতে যোগ না দেন, তবে সিনেটের কথা ভাবতে পারেন। ভোটের পদ্ধতি আলাদা বলে একটু সহজ হতে পারে সেটি। আপনি কী ভাবছেন?’

আরও পড়ুনআইপিএলের প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার ‘ঝাড়খন্ডের ক্রিস গেইল’ ৪০ মিনিট আগে

এ মন্তব্যটি শেয়ার করে ওয়ার্নার জানিয়েছেন তাঁর ভাবনা, ‘আপনার বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে। তবে, সবাই আসলে কী চায় এবং কী প্রয়োজন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কম আয়কর, মানুষের হাতে বেশি টাকা, জিএসটি (পণ্য ও সেবার কর) বাড়ানো—এগুলোর মধ্যে কোনটা সমাধান হতে পারে, নিশ্চিত নই। তবে আমাদের আগে নিজেদের দেশকে সুরক্ষা দিতে হবে!!! অস্ট্রেলিয়ান পণ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

এখন দেখা যাক ওয়ার্নার রাজনীতিতে যোগ দেন কি না! এর আগে অস্ট্রেলিয়ার রাগবি লিগের কিংবদন্তি গ্লেনলাজারাসও ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে অল্প সময়ের জন্য রাজনীতিতে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর সাবেক রেইডার্স সতীর্থ ম্যাল মেনিঙ্গার অভিজ্ঞতা অবশ্য খুবই বাজে। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম রেডিও সাক্ষাৎকারেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

আরও পড়ুনএক মিনিট নীরবতা পালনের পর ক্লাব জানতে পারল খেলোয়াড়টি মারা যাননি ১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ত

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি

শোবিজের একঝাঁক একঝাঁক অভিনয়শিল্পীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রথমে ইরেশ যাকের, তারপর সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনা ঘটনা নিয়ে আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমে বলেন, “সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন যেন মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই। একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। কিছু লোক তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে!”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “দলবদ্ধভাবে সিদ্দিককে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, আক্রমণ করেছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলেছে, এরপর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় যদি সোপর্দ করতেই হয়, তাহলে প্রথমে কেন আইন হাতে তুলে নিল? তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে— এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় নানা স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।”

ঢালাওভাবে অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে বিস্মিত আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে হত্যা মামলা হচ্ছে! দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকে মামলার মধ্যে ফেলতে হবে। ৩০০-৪০০ জন মামলার আসামি, এটা অবাস্তব একটা অবস্থা। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? যে মানুষটি মামলা করেছেন, তিনি আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন; তিনি মামলা করেছিলেন অনেক লোকের নামে। মামলার নথিতে শিল্পীদের অনেকের নাম দেখলাম, তারা রাস্তায় নেমে মানুষকে গুলি করবে!”

সরকারিভাবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন আজাদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত হবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা। নিরুৎসাহিত করা। যে ব্যক্তি মামলা করছেন, যদি প্রমাণিত হয়, শিল্পীরা কেউই গুলি করেনি, তখন তো এটা মিথ্যা মামলা হবে। এ রকম মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি শিল্পীদের নামে মামলা করেছেন, তার কী শাস্তি হবে, তারও বিধান থাকতে হবে।”

“কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরো বাড়বে।” বলেন আবুল কালাম আজাদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
  • পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
  • প্রথম আলোর সাংবাদিককে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুমকি, থানায় জিডি
  • গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, হাতুড়িপেটায় একজন নিহত
  • সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি