যশোরে মীর সামিল সাকিব সাদী (৩৫) ওরফে খোঁড়া সাদী নামে এক যুবককে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের মুড়িব সড়কস্থ জয়তী সোসাইটির পেছনে তার ওপর হামলা হয়। নিহত সাদী একই এলাকার শওকত হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে মোটরসাইকেলে চাচাতো ভাই রাকিবের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন সাদী। বাড়ির সামনে আগে থেকে অপেক্ষায় ছিলেন ট্যাটু সুমন ও মেহেদী। বাসার সামনে পৌঁছাতেই সুমন ও মেহেদী সাদীকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় সাদীর বাইকে থাকা রাকিব ট্যাটু সুমনকে জড়িয়ে ধরেন। তখন হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে ও রাকিবকে আঘাত করে। তাদের ছোঁড়া গুলি সাদীর গলা ও বুকে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা সাদীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে সাদীর মৃত্যু হয়। মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
তাজকীর হত্যার রহস্য উন্মোচন করল পুলিশ
আদালতে স্বীকারোক্তি
মাগুরার সেই শিশুকে একাই ধর্ষণ করেছেন বোনের শ্বশুর
হাসপাতালে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, “কারা কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে। নিহত সাদী সন্ত্রাসী ও যাদের নাম আসছে তারাও সন্ত্রাসী। সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানে শুরু করেছে পুলিশ।”
এলাকাবাসী জানান, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর যশোর শহরের কোট মোড়ে হত্যার শিকার হন তৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কবির হোসেন পলাশ। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন সাদী বলে অভিযোগ রয়েছে। সেসময় মোটরসাইকেলে পালানোর সময় শহরের পালবাড়ি ভাস্কর্য মোড়ে দুর্ঘটনার শিকার হন সাদী। ওই দুর্ঘটনায় তার এক পা কেটে ফেলতে হয়। পা হারিয়েও এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন সাদী।
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে