নার্সিংয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদনের সময় বৃদ্ধি ও পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
Published: 18th, March 2025 GMT
সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত (সামরিক-বেসামরিক) ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে আবেদনের সময় আবার বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবার আবেদনের সময় বৃদ্ধির সঙ্গে পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত (সামরিক-বেসামরিক) ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং, ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন।
১৭ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদন করা যাবে ৬ এপ্রিল ২০২৫ রাত ১১.
*প্রার্থীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে
*আবেদনকারীকে ২০২২, ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান এবং ২০২০, ২০২১ অথবা ২০২২ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে
এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষার মধ্যে ব্যবধান কোনোভাবেই ৩ বছরের অধিক হতে পারবে না।
*ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট আসনের ১০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আসনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী ভর্তি করা যাবে। ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে শুধু নারী প্রার্থী আবেদনের যোগ্য হবে।
(ক) চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং (বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স): প্রার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমানের দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ–৩.০০–এর কম হবে না। প্রার্থীকে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ–২.৫০ থাকতে হবে
(খ) তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি: প্রার্থীকে যেকোনো বিভাগে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমানের দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ন্যূনতম ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো একটি পরীক্ষায় জিপিএ–২.৫০–এর কম হবে না।
পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর—বিএসসি ও ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য পৃথক পৃথক প্রশ্নপত্রে ১ ঘণ্টার ১০০ (একশত) নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। (ক) বিএসসি ইন নার্সিং: বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত-১০, বিজ্ঞান-৪০ (জীববিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন) এবং সাধারণ জ্ঞান-১০। (খ) ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি: বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, সাধারণ গণিত-১০, সাধারণ বিজ্ঞান-৩০ এবং সাধারণ জ্ঞান-২০।
প্রার্থী নির্বাচন যেভাবেএসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং প্রার্থীর এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৫ গুণিতক = ২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)। এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৫ গুণিতক = ২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)। এমসিকিউ পরীক্ষা: ১০০ নম্বর, সর্বমোট = (২৫+২৫+১০০) = ১৫০ নম্বর। এ পরীক্ষায় ৪০ (চল্লিশ) বা তদূর্ধ্ব নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে বিবেচিত হবেন। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীর নির্বাচনী পরীক্ষার মেধাক্রম ও প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত পছন্দের ক্রমানুসারে প্রার্থী কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে তা নির্ধারিত হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম অনুসারে গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটি ভর্তির অনুমোদন প্রদান করবে।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্পায়ার লিডারস প্রোগ্রাম, আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন ১৭ মার্চ ২০২৫ভর্তি পরীক্ষার ফিবিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের জন্য ৭০০/- (সাতশত) টাকা, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের জন্য ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা আবেদন ফি হিসেবে টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোনের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। অনলাইনে ফি জমা হলেই আবেদন চূড়ান্তভাবে গৃহীত হবে।
আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ*অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে: ১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার, দুপুর ১২.০০)
*অনলাইনে আবেদনের শেষ: ৬ এপ্রিল ২০২৫ (রোববার, রাত ১১.৫৯)
*অনলাইনে আবেদনের ফি জমার শেষ তারিখ: ৭ এপ্রিল ২০২৫ (সোমবার, রাত ১১.৫৯)
*অনলাইন প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু: ৬ মে ২০২৫ (মঙ্গলবার, সকাল ১০.০০)
*ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময়: ১৬ মে ২০২৫ (শুক্রবার, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত)
আরও পড়ুনকলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি-সদস্যদের সম্মানী বন্ধ, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর১৩ মার্চ ২০২৫সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে যা করণীয়মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ প্রযোজ্য সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার দিন কার্যকর সরকার কর্তৃক জারিকৃত সর্বশেষ বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে। তবে সংরক্ষিত আসনে উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ মেধাক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
ফরম পূরণের নির্দেশিকা ও ভর্তির বিস্তারিত তথ্যনার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইনে ফরম পূরণের নির্দেশিকা ও ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং ভর্তির নীতিমালা স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mefwd.gov.bd, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgnm.gov.bd এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ওয়েবসাইট www.bnmc.gov.bd এর মাধ্যমে জানা যাবে।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর-পিএইচডির সুযোগ১৭ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়১৩ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন স অ য ন ড ম ডওয ম র চ ২০২৫ ও এইচএসস পর ক ষ র ইন ন র স ব সরক র র ত ১১ র জন য ভর ত র আসন র বছর ম ব এসস
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।
আর মাত্র ২ মাসের কম সময় বাকি দুর্গোৎসবের। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ভারতজুড়ে কালীপূজা, দীপাবলি ইত্যাদি। এই উপলক্ষে গত কয়েক বছর ধরে পূজা মৌসুমে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ সরকার। যদিও তা করা হয় ভারতের অনুরোধে। আর এবারও সেই অনুরোধের ব্যতিক্রম হলো না।
গত বছর পূজা মৌসুমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কারণে ইলিশ এসেছিল ভারতে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত বছর আপনার হস্তক্ষেপের ফলে, ভারত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মৎস প্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়।”
আরো পড়ুন:
সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
শেষ ম্যাচের আগে ভারতের শিবিরে ধাক্কা, বিশ্রামে বুমরাহ
এরপরই লেখা হয়েছে, “দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায়, আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।”
তবে প্রতিবছর অনুমোদিত ইলিশের সম্পূর্ণ কোটা রপ্তানি না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগের বছর (২০২৩) ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র ৫৮৭ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১২শ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছি।”
এই সমস্যার কারণ হিসেবে রপ্তানির জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমাকে দায়ী করা হয়েছে। ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই। কারণ রপ্তানি পারমিটগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এই সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, যে দয়া করে কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হোক।”
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আরো শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ