বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০২৫-বি ব্যাচে নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নৌবাহিনীতে ডিই বা ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল), প্যাট্রোলম্যান, রাইটার, স্টোর, মেডিকেল, কুক, স্টুয়ার্ড, টোপাস ও এমওডিসি (নৌ) পদে লোকবল নিয়োগ করা হবে। এসব পদে মোট ৪০০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

কোন শাখায় কতজন

ডিই বা ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল) পদে ২৮৫ জন, প্যাট্রোলম্যান ১২ জন, রাইটার ১৮ জন, স্টোর ১৮ জন, মেডিকেলে ১০ জন, কুক ২৫ জন, স্টুয়ার্ড ১৩ জন, টোপাস পদে ১৩ জন ও এমওডিসি (নৌ) পদে ৭ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।

যোগ্যতা

ডিই বা ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল) পদে আবেদনের জন্য বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-৩.

৫০ নিয়ে পাস হতে হবে। তবে এসএসসি পরীক্ষায় উচ্চতর গণিতধারী প্রার্থী এবং বিএন ডকইয়ার্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ন্যূনতম ‘এ’ গ্রেডপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

প্যাট্রোলম্যান, রাইটার, স্টোর ও এমওডিসি (নৌ) পদের জন্য যেকোনো বিভাগ থেকে কমপক্ষে জিপিএ-৩.০০ নিয়ে এসএসসি পাস। মেডিকেল পদে আবেদনের জন্য জীববিজ্ঞানসহ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কমপক্ষে জিপিএ-৩.৫০ নিয়ে পাস করতে হবে। কুক ও স্টুয়ার্ড পদের জন্য যেকোনো বিভাগ থেকে কমপক্ষে জিপিএ-২.৫০ নিয়ে এসএসসি পাস এবং টোপাস পদের জন্য কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।

শারীরিক যোগ্যতা

সিম্যান ও এমওডিসি (নৌ) পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীর উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, প্যাট্রোলম্যান পদে আবেদনের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি ও অন্যান্য পদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। উচ্চতার পাশাপাশি প্রতিটি পদের ক্ষেত্রেই আবেদনকারীর বুকের মাপ সাধারণ অবস্থায় ৩০ থেকে ৩২ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ২ ইঞ্চি বেশি হতে হবে। ওজন হতে হবে উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী এবং চোখের দৃষ্টি হতে হবে ৬/৬।

অন্যান্য যোগ্যতা

আগ্রহী প্রার্থীদের বাংলাদেশি পুরুষ নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীর সাঁতার জানা আবশ্যক। ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে নাবিক পদের জন্য বয়স ১৭ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এমওডিসি (নৌ) পদের জন্য বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর।

অযোগ্যতা

বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশে প্রচলিত আইনে কেউ গ্রেপ্তার, দোষী সাব্যস্ত, বন্দী, আটক অথবা কোনো মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আদালতে বিচারাধীন থাকলে আবেদন করতে পারবেন না। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী অথবা সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত বা বহিষ্কৃত হলে এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে আবেদন করা যাবে না।

যেভাবে আবেদন

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেইলর সেকশন/অ্যাপ্লাই নাউ অপশনে ক্লিক করে প্রথমে প্রাক্-যোগ্যতা যাচাই করতে হবে। যাচাই শেষে অ্যাপ্লাই নাউ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রার্থীকে ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। যেকোনো ব্যাংকের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড (ভিসা, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, নেক্সাস) এবং মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, রকেট, ট্যাপ, ওকে ওয়ালেট) ইত্যাদির মাধ্যমে ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার পর সঠিক তথ্য দিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। তথ্য যাচাই করে ‘জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে ‘নাবিক ১’ ফরমটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে। পরীক্ষার দিন ফরমটি সঙ্গে আনতে হবে।

বাছাইপ্রক্রিয়া

অনলাইনে আবেদনকারীদের সব সার্টিফিকেট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদনপত্রসহ নিজ জেলার জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। প্রার্থীর সব কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে প্রথমে তাঁকে প্রাথমিক নির্বাচন করা হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ইংরেজি, বাংলা, গণিত, বিজ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা বিষয়ের ওপর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সুযোগ-সুবিধা

সরকার-নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী, বেতন ও ভাতা দেওয়া হবে। বিনা মূল্যে পোশাক, থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা, পারিবারিক রেশন সুবিধা, অবসর গ্রহণকালে অবসরভাতা, গ্র্যাচুইটির সুবিধা, চাকরিকালীন যোগ্যতার ভিত্তিতে নন-কমিশন্ড অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও বিশেষ যোগ্যতার ক্ষেত্রে কমিশন্ড অফিসার পদে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে অথবা পঙ্গু হলে বিমার সুবিধা ও পরিবারের জন্য আর্থিক সুবিধা, বিদেশে প্রশিক্ষণ, নৌবাহিনীর জাহাজে বিদেশে শুভেচ্ছা সফর, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের সুযোগ, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে চাকরির সুযোগ, নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে বাসস্থান পাওয়ার সুযোগ; সামরিক হাসপাতালে উন্নত মানের চিকিৎসাসুবিধা ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিধি মোতাবেক নগদ অর্থ প্রদানসহ বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুনসেনাবাহিনী নেবে কমিশন্ড অফিসার, আবেদন চলছে১৪ মার্চ ২০২৫

বিস্তারিত জানতে

নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা যাবে এই ঠিকানায়-পরিচালক, পার্সোনেল সার্ভিসেস পরিদপ্তর, নৌবাহিনী সদর দপ্তর, বনানী, ঢাকা-১২১৩। ফোন: ০২-৯৮৩৬১৪১-৯, বর্ধিত ২২১৫। মুঠোফোন নম্বর: ০১৭৬৯-৭০২২১৫। ওয়েবসাইট।

আবেদনের শেষ সময়: ১২ এপ্রিল ২০২৫।

আরও পড়ুনসেনাবাহিনী বিশেষ পেশায় নেবে সৈনিক, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুননৌবাহিনীতে বেসামরিক পদে চাকরি, ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে পদ ২৫২১১ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ য় কমপক ষ য গ যত

এছাড়াও পড়ুন:

নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ফলাফল বিপর্যয়ের নেপথ্যে.........

বন্দরের নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের সুনাম নষ্টে একের পর এক অপকর্ম করে চলেছে নবগঠিত এডহক কমিটির বিতর্কিত সদস্য ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন।

নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসএসসি ফেল সন্তানের অভিভাবক হিসেবে সদস্য হওয়ার পর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই সুমন। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে একের পর অপপ্রচার করে চলেছে সে। 

জানা গেছে, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষায় ১০ম শ্রেণী ৬৮ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করে বা অকৃতকার্য হয়। যার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সায়মা খানম ঐ শিক্ষার্থীদেরকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনে বাধা প্রদান করেন।

তখন তিনি বলেছিলেন, তোমরা আরও ভালো করে পরীক্ষার প্রিপারেশন নিয়ে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিও। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীণ সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলও এই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার অনুমতি দেননি। যার ফলশ্রুতিতে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষও তাদেরকে অনুমতি প্রদান করেননি। 

কিন্তু, বর্তমান এডহক কমিটির বিতর্কিত সদস্য এবং বিগত কমিটিরও সদস্য ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন অনেকটা জোরপূর্বকভাবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষ্যের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ৬৮ শিক্ষার্থীকে নিজ জিম্মায় পরীক্ষায় অংশগ্রহনের অনুমতি দেন।

যার সুস্পষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। সুমনের একগুয়ে সিদ্ধান্তের কারণে ঐ ৬৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৭ জন শিক্ষার্থীই ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেল করে, যেখানে সুমনের নিজের সন্তানও রয়েছে। 

তবে, বিতর্কিত এই সুমন পুনরায় এডহক কমিটির সদস্য হওয়ার পর থেকে এখন নিজেকে সাধু প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক ব্যক্তির স্ট্যাটাসে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলের খারাপ রেজাল্টের দায় প্রধান শিক্ষক তথা অধ্যক্ষের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে সে।

ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন তার ফেসবুক আইডি থেকে ঐ স্ট্যাটাসে যে কমেন্ট করেছেন তা তুলে ধরা হলো, সুমন লিখেছেন, বন্দর থানায় ২৩ টি বিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে ২০ তম হয়েছে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। তার কারণ অযোগ্য প্রধান শিক্ষিকা, অশিক্ষিত সভাপতির কারণে দিন দিন বিদ্যালয়টি ধংশ হয়ে যাচ্ছে। আরো একটি কমেন্টে একটি ছবি পোষ্ট করে সেখানে বিদ্যালয়ের ২০তম হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে সে। 


এদিকে, সুমনের এমন কান্ডে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো বন্দর উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকরা বলছেন, চোরের মায়ের বড় গলা। টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেয়া সুমন এখন নিজে সাধু সাজার চেষ্টা করছে। এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা ও সাবেক সভাপতির উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। 

অভিভাবকরা আরও বলছে, নিজের দোষ ঢাকতে সুমন এমন চতুরতার আশ্রয় নিচ্ছে। মূলত বিদ্যালয়ের পাশের হার কম হওয়ার পিছনে সুমনই দায়ী। যা এই বিদ্যালয়ের বিগত ৫ বছরের এসএসসি পরীক্ষার পাশের হারের দিকে তাকালেই দেখা যায়। যেখানে অন্যান্য বছর ৮০ থেকে ৯৮ পারসেন্ট ছিলো পাশের হার, সেখানে সুমনের একগুয়ে সিদ্ধান্তের কারণে ২০২৪ সালে পাশের হার নেমে আসে ৬৫ পারসেন্টে। 

কিভাবে এই এডহক কমিটির সদস্য হলেন তা জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন বলেন, ০৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বলা আছে, ইউএনও চাইলে যে কাউকে এডহক কমিটিতে সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করতে পারেন। 


গত বছরের ফেল করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলো ১১ জন, আমি একা কিভাবে করবো? সেখানে আপনার স্বাক্ষর আছে উল্লেখ করা হলে সুমন আমতা আমতা করেন। পরবর্তীতে তিনি বলেন, আমার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে।

সেই কমিটির সভাপতি ছিলো সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, তাকে বাইলট করে আমি কিভাবে সুযোগ দিতে পারি? কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহনের অনুমতি পত্রে সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল এবং প্রধান শিক্ষিকার কোনো স্বাক্ষর ছিলো না এমন তথ্য আমাদের কাছে আছে, জানালে তিনি ফোন কেটে দেন। 

অপরদিকে, ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন কিভাবে এডহক কমিটির সদস্য হলো এমন প্রশ্ন করা হলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি নিয়মবহির্ভূত কিছু হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

উল্লেখ্য, শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের এডহক কমিটি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চার সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয়। এই এডহক কমিটিতে অভিভাবক সদস্য হিসেবে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের ওই ব্যক্তি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করা এক শিক্ষার্থীর বাবা। অকৃতকার্য শিক্ষার্থী হিসেবে তার সন্তান এ বছর আবারও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়ের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে কিভাবে একজন দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবককে এডহক কমিটির সদস্য করা হলো, তা বোধগম্য নয়।

এখানে পুরোপুরি অযৌক্তিকভাবে এবং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমনকে সদস্য করা হয়েছে। তার উপর সেই শিক্ষার্থী গত বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। অভিভাবকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অবিলম্বে তারা এই বিতর্কিত কমিটি ভেঙ্গে দিতে শিক্ষা অফিসার, ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এবং জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন
  • নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ফলাফল বিপর্যয়ের নেপথ্যে.........
  • দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৮ শিক্ষককে অব্যাহতি
  • এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫: ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার টিপস
  • সুদানের এল-ফাশারে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৪১ বেসামরিক
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে চান?
  • মার্জিন ঋণ নিতে বিনিয়োগ লাগবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা
  • পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ, ৩ দিনে নিহত ৭১
  • পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ, নিহত ৭১
  • পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ