জুলাইসহ সব হত্যা ও গুমের বিচার করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি ইসলামী আন্দোলনের
Published: 21st, March 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ বিগত সময়ের সব হত্যা, গুম ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ। শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক গণ–ইফতার মাহফিলে ইউনুস আহমাদ এ দাবি জানান।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আরিয়ান মুহাম্মদ ইমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ইফতার মাহফিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
মানুষের জীবনকে যারা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না উল্লেখ করে ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘শহীদের রক্তের দায় কোনো অবস্থাতেই ক্ষমা করা যায় না। রক্তের মূল্য বৃথা যায় না। কোনো রাজনীতি, কোনো অজুহাত বা কোনো কূটকৌশলে মানুষের রক্ত ও জীবনকে বিক্রি করে দিলে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না। রক্তের দায় যারা অস্বীকার করে, তাদের শাস্তি ভোগ করতেই হয়।’
তরুণদের বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘দেশে শিল্পায়ন করতে হবে, তারুণ্যকে সহজ ও সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। স্টার্ট-আপ প্রোগ্রামকে বাধাহীনভাবে উৎসাহ দিতে হবে।’
ইফতার মাহফিলে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মনির হোসাইন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি নিয়ামাতুল্লাহ বিন হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ রাছিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন