গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের মা কিম ফার্নান্দেজকে। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে আইসিইউ-তে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়েছে তাকে। এ খবর পেয়ে শুটিং ছেড়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন জ্যাকলিন।

টাইমস নাউ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিম ফার্নান্দেজকে আইসিইউতে ভর্তি করার পর শুটিং ফেলে সরাসরি হাসপাতালে চলে যান জ্যাকলিন। এ বিষয়ে এখনো জ্যাকলিনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের শুরুতে জ্যাকলিনের মা কিম ফার্নান্দেজ অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ট্রোক হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।

আরো পড়ুন:

ব্যক্তিগত ছবি ফাঁসের হুমকি, ভীত অভিনেত্রী

সুশান্তর মৃত্যু: নতুন প্রতিবেদনে রিয়ার স্বস্তি

কিছু দিন আগে ইন্ডিয়া টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যাকলিন বলেন, “আমি সবসময়ই মায়ের কাছ থেকে সাপোর্ট পেয়েছি। প্রতিটি কঠিন সময়ে মা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটে জ্যাকলিনের নাম ওঠার পর তার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ফলে, অনেক কাজও হারিয়েছেন। গত বছর হলিউডের একটি সিনেমায় দেখা গেলেও বলিউডের কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি।

জ্যাকলিন অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন সিনেমা ‘ফাতেহ’। ৫০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা পরিচালনা করছেন অভিনেতা সোনু সুদ। নির্মাণের পাশাপাশি জ্যাকলিনের বিপরীতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। গত ১০ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি।

বর্তমানে জ্যাকলিনের হাতে একাধিক সিনেমার কাজ রয়েছে। এগুলো হলো— ‘ওয়েলকাল টু দ্য জঙ্গল’, ‘হাউজফুল ফাইভ’।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ য কল ন জ য কল ন র

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ