হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে লুকিয়ে রাখবেন যেভাবে
Published: 28th, March 2025 GMT
বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে লিখিত বা অডিও বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি স্ট্যাটাসও দেওয়া যায়। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের স্টোরিজ সুবিধার মতো হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস ২৪ ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে গেলেও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দেওয়া স্ট্যাটাস স্বল্প পরিচিত ব্যক্তি বা সহকর্মীরা দেখলে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তবে চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস পরিবর্তন করে স্ট্যাটাস কারা দেখতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে দেওয়া যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে লুকিয়ে রাখার জন্য প্রথমে স্মার্টফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করে আপডেটস ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এরপর পরের পৃষ্ঠায় স্ট্যাটাস অপশনের পাশে থাকা তিনটি ডট মেন্যুতে ট্যাপ করে স্ট্যাটাস প্রাইভেসি নির্বাচন করতে হবে। এবার হু ক্যান সি মাই স্ট্যাটাস আপডেটসের নিচে থাকা মাই কন্টাক্টস অ্যাকসেপ্ট অপশনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট এক বা একাধিক ব্যক্তির নাম নির্বাচন করে নিচে থাকা টিকমার্ক চিহ্নে ট্যাপ করলেই সেই ব্যক্তিরা পরবর্তী সময়ে আর হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প স ট য ট স
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত